নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী এমপি বলেছেন এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ, অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি প্রযুক্তিতে দক্ষ করে শিশুদের ভবিষ্যত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিশেষত তাদের আনন্দদায়ক শিক্ষা প্রদান না করলে স্কুলে আসতে আগ্রহী হবেনা। তারা যদি আনন্দ না পায় তাহলে ক্লাসে মনোযোগী হবেনা। এসডিজি বাস্তবায়নে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিশুদের খুব ভালোবাসেন। কোথায় কি করতে হবে উনি গাইড করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ি শিশুদের অধিকার রক্ষায় তাদের জন্য উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
গণসাক্ষরতা অভিযানের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সোমবার ‘মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষকের সম্পৃক্তকরণ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা ও এম্পাওয়ারিং চিলড্রেন থ্রু এডুকেশন (ইসিই) কর্মসূচির সূচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেভ দ্য চিলড্রেন ও হেমপেল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. একিউএম শফিউল আজম, সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত, সেভ দ্য চিলড্রেন ডেনমার্কের সিনিয়র কান্ট্রি এনগেজমেন্ট ম্যানেজার এশিয়া ও প্যাসিফিক রিকি হোভ বেক।উক্ত সভায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, গণমাধ্যমকর্মী এবং দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার শতাধিক প্রতিনিধি।
অনুষ্ঠানে এম্পাওয়ারিং চিলড্রেন থ্রু এডুকেশন (ইসিই) কর্মসূচি সম্পর্কে ধারণাপত্র উপস্থাপন করে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকল্প পরিচালক শাহীন ইসলাম বলেন, হেমপেল ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সেভ দ্য চিলড্রেন ও গণসাক্ষরতা অভিযান যৌথভাবে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট ও জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার ৩২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এম্পাওয়ারিং চিলড্রেন থ্রু এডুকেশন (ইসিই) শীর্ষক একটি কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করছে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ২০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে শিখন সহায়তা পাবে। অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি উন্নয়নে রিমিডিয়াল সহায়তা প্রদান করাই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। এরপর ‘মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিক্ষকের সম্পৃক্তকরণ’ এর উপরে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইএসডিও’এর নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান। তিনি, দেশব্যাপী প্রাথমিক স্তরে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিটি ভিত্তিক শিক্ষা সম্প্রসারণে শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক সুপারিশমালা বৃহত্তর পরিসরে অবহিতকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। উন্মুক্ত আলোচনায় কয়েকজন শিক্ষক প্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন এবং সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।