নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে সড়কে নেমেছেন অভিভাবকদের একাংশ। তারা জানান, এই শিক্ষাব্যবস্থা দেশের সমাজ ব্যবস্থা ও পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ কথা বলেন।
অভিভাবকরা বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা বই পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে, ডিজিটাল ডিভাইসে আসক্তি বাড়ছে।
শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই নেই পরীক্ষা ও কার্যকরী মূল্যায়ন পদ্ধতি। ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ কিছু সাংকেতিক চিহ্ন দিয়ে শিক্ষার্থীদের মেধাকে মূল্যায়ন করা সম্ভব না।
অভিভাবকরা আরো বলেন, যেসব শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে, সেগুলোর ফলাফলের দিকে তাকালে দেখা যাবে শিক্ষার্থীরা কিভাবে পিছিয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, সমাজ,পরিবেশ ও পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্যপূর্ণ একটি কারিকুলাম দেশের প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ফলে দেশের পতিত শিক্ষাব্যবস্থা আরো পতনের সম্মুখীন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে পতিত হওয়ায় সারাদেশের অভিভাবকরা খুবই উদ্বিগ্ন।
মানববন্ধনে অভিভাবকদের ৮ দাবিতে জানানো হয়, শিক্ষানীতি বিরোধী কারিকুলাম বাতিল করতে হবে; নাম্বারভিত্তিক দুটি পরীক্ষা রাখতে হবে; নবম শ্রেণি থেকেই বিভাগ রাখতে হবে; ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ বাতিল করে গ্রেডভিত্তিক মূল্যায়ন করতে হবে; স্কুলেই সকল প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে হবে এবং এসবের ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে। দাবির মধ্যে আরো আছে, শিক্ষার্থীদের ডিভাইস বিমুখ করে তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যায়নমুখী করতে হবে; প্রতি ক্লাসে নিবন্ধন সনদ বাতিল, প্রাথমিক আবৃত্তি পরীক্ষা চালু এবং এসএসসি ও এইচএসসি দুটি পাবলিক পরীক্ষা রাখতে হবে; প্রতি শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই মন্ত্রীপরিষদ এবং সংসদে উত্থাপন করতে হবে।
মানববন্ধনে সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল সাহা, মুখপাত্র আমিরুল ইসলামসহ সংগঠনের বিভিন্ন নেতা ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
এবি/এইচএন