সংগৃহীত
অপরাধ

মব জাস্টিস কী, ইতিহাস ও অধিক প্রবণ দেশ কোনগুলো

আমার বাঙলা ডেস্ক

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গত ৪ মার্চ ইরানের দুই নাগরিককে মারধর করে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। তাদেরকে ছিনকাইকারী আখ্যা দেওয়া হয়। এতে ওই দুজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, ইরানের এই দুই নাগরিক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। একপর্যায়ে ছিনতাইকারী সাজিয়ে তাদের মারধর করা হয়।

এমন ঘটনা অসংখ্য। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দলবদ্ধভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা বেড়েছে। এসব ঘটনা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ পত্রপত্রিকায় ‘মব’ ও ‘মব জাস্টিস’ শব্দ দুটি আলোচনায় রয়েছে।

ইংরেজি শব্দ ‘মব’-এর অর্থ ‘বিশৃঙ্খল জনতা’। আর সরল ভাষায় এই বিশৃঙ্খল জনতা নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে সহিংসতা করলে তাকে ‘মব জাস্টিস’ বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা বলে।

বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান ও আফ্রিকার দেশগুলোতে মব জাস্টিসের প্রবণতা বেশি। আফ্রিকার দেশ উগান্ডার বিচারব্যবস্থার উদ্যোগে পরিচালিত সরকারি প্রকল্প জাস্টিস সেন্টার্স উগান্ডার ওয়েবসাইটে ‘মব জাস্টিসের’ বিস্তারিত সংজ্ঞা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মব জাস্টিস হলো অপরাধে জড়িত থাকার সন্দেহে কোনো ব্যক্তিকে অবমাননা, মারধর, হত্যা বা সম্পদ ধ্বংসের মাধ্যমে সাজা দেওয়া বা প্রতিশোধ নেওয়া। এ প্রক্রিয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ পান না। উচ্ছৃঙ্খল জনতা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। মব জাস্টিসের মাধ্যমে কোনো ন্যায়বিচার হয় না। কারণ, এখানে সাক্ষী, বিচারক ও শাস্তিদাতা— সবকিছুর ভূমিকায় থাকে উচ্ছৃঙ্খল জনতা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার-সংক্রান্ত বৈশ্বিক ঘোষণা অনুযায়ী, মব জাস্টিসের কারণে মানবাধিকারের বড় লঙ্ঘন হয়। ঘোষণার ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনালের অধীনে সবার সমতার ভিত্তিতে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আর ঘোষণার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযুক্ত ব্যক্তির অধিকার— তাকে যেন নিরপরাধ বলে বিবেচনা করা হয়। একই সঙ্গে বিচারের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তির আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থাকতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) হিসাবে, গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সাত মাসে গণপিটুনিতে অন্তত ১১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ জন। আর গত ১০ বছরে গণপিটুনিতে মোট ৭৯২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে ২০২৪ সালে। গত বছর এ ধরনের ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হয়েছেন।

ইতিহাসে ‘মব জাস্টিস’: সামাজিক ব্যবস্থায় মানুষের বসবাসের শুরু থেকেই মব জাস্টিস ছিল। তখনকার সমাজে লিখিত কোনো আইন ছিল না। বিচারকাজ চলত সম্প্রদায়কেন্দ্রিক রীতিনীতির ভিত্তিতে। অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে কী সাজা দেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত নিতেন সম্প্রদায়ের সদস্যরা মিলে। এই সাজাগুলো ছিল নৃশংস। সাজা দেওয়া হতো জনসম্মুখে। উদ্দেশ্য, অপরাধগুলো যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে।

বিগত শতকগুলোর দিকে তাকালেও বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এর মধ্যে বহুল আলোচিত ১৬৯২ ও ১৬৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনা। হিস্ট্রি চ্যানেলের তথ্য অনুযায়ী, কালোজাদু চর্চার অভিযোগ তুলে তাদের ‘ডাইনি’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পেছনে কাজ করেছিল কুসংস্কার, জনরোষের ভয় ও ধর্মীয় উগ্রবাদ।
এই যুক্তরাষ্ট্রেই ১৮৮২ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত আবার বড় পরিসরে মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটে। বর্ণবিদ্বেষের কারণে সে সময় দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে হাজারো কৃষ্ণাঙ্গ হামলার শিকার হয়েছিলেন। বিনা বিচারের আফ্রিকা বংশোদ্ভূত বহু আমেরিকানকে হত্যা করা হয়েছিল।

ইউরোপে ফরাসি বিপ্লবের সময় ১৭৮৯ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত যে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল, তার একটি বড় বৈশিষ্ট্য ছিল মব জাস্টিস। সে সময় প্যারিসের বাস্তিল দুর্গে হামলা চালিয়েছিল উচ্ছৃঙ্খল জনতা। শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়েছিল বহু মানুষকে।

গত শতকের প্রথমার্ধে নাৎসি জার্মানিতে রাষ্ট্রীয় সমর্থনে মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটে। ইহুদি, রাজনৈতিক বিরোধী ও প্রান্তিক বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খল জনতাকে লেলিয়ে দিয়েছিল জার্মান সরকার।

বিশ্বের ইতিহাসে দগদগে ক্ষত হয়ে আছে মব জাস্টিসের আরেক উদাহরণ— রুয়ান্ডা গণহত্যা। ১৯৯৪ সালে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট জুভেনাল হাবিয়ারিমানার মৃত্যুর পর রুয়ান্ডজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র ১০০ দিনে প্রায় আট লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়। নিহত বেশির ভাগ মানুষই ছিলেন দেশটির তুতসি সম্প্রদায়ের। গণহত্যা চালিয়েছিল মূলত হুতু সম্প্রদায়। এই গণহত্যার মূল বৈশিষ্ট্য ছিল মব জাস্টিস।

দেশ ও পরিস্থিতিভেদে মব জাস্টিসের কারণ ভিন্ন হতে পারে। তবে এর পেছনে মূল একটি কারণ হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা কমে আসা।

একবিংশ শতকে দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকায় আশঙ্কাজনক হারে মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসে ভারতের কথা। বিশেষ করে দেশটির মুসলিম ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর বিশৃঙ্খল জনতার হামলার খবর প্রায়ই সামনে আসে।

মব জাস্টিসের পেছনে বড় ভূমিকা পালন করে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে দেওয়া বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য। গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া হেট ল্যাবের প্রতিবেদনে দেখা যায়, আগের বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে ভারতে সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য ৭৪ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর ভারতে এক হাজার ১৬৫টি বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৯৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ ঘটনায় মুসলিমদের নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। বক্তব্যদাতাদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।

পাকিস্তানেরও উচ্ছৃঙ্খল জনতার আইন হাতে তুলে নেওয়া খবর প্রায়ই সামনে আসে। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মব জাস্টিসের বেশির ভাগ ঘটনা ঘটে ধর্ম অবমাননার অভিযোগকে কেন্দ্র করে।

আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডা, ঘানা ও কেনিয়ায় মব জাস্টিসের প্রবণতা বেশি বলে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন ঘানার কয়ামে এনক্রুমাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির আইনের অধ্যাপক মামে এফুজা আদ্দাদজি-কুম। তিনি বলেন, এই দেশগুলোতে অপরাধের মামলাগুলো পর্যালোচনা করলে মব জাস্টিস, চুরি ও ডাকাতির ঘটনা সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে, গত এক দশকে নাইজেরিয়ায় অন্তত ৫৫৫ জন মব জাস্টিসের শিকার হয়েছেন। ২০২৪ সালের মার্চে প্রকাশিত ‘হোয়াই উই কিল’ বইয়ের লেখক কার্ল কেম্পের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ২৭ হাজার মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। এর মধ্যে এক হাজার ৮৯৪ জন অর্থাৎ প্রায় সাত শতাংশ মানুষ মব জাস্টিসে প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই সংখ্যাটা ছিল আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ।

বাংলাদেশে সম্প্রতি আলোচিত যত ঘটনা: গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পরপর আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সমর্থকদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে।

গত জানুয়ারির মাঝামাঝি পুলিশের অনুসন্ধানের বরাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, ৪ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের এক হাজার ৪১৫টি অভিযোগের মধ্যে ৯৮ দশমিক চার শতাংশ হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। আর এক দশমিক ৫৯ শতাংশ ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রদায়িক কারণে।

সরকার পতনের পরের মাসগুলোতে মাজার ও ওরসে বিশৃঙ্খল জনতার হামলার ঘটনাও ঘটেছে। সবশেষ গত ৩ মার্চ রাতে নেত্রকোনায় কেন্দুয়ায় মাসকা বাজারসংলগ্ন হজরত শাহ নেওয়াজ ফকিরের মাজারে ওরস আয়োজনকে কেন্দ্র করে তোরণ, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জায় ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে ভাঙচুর করা হয়। এর আগে ১ মার্চ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ‘রহিম শাহ বাবা ভান্ডারি মাজারে’ হামলা-অগ্নিসংযোগের পর ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

উচ্ছৃঙ্খল জনতার হামলার কারণে গত ২৯ জানুয়ারি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নারীদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ বাতিল করা হয়। আগের দিন একদল মানুষ মিছিল নিয়ে এসে খেলার মাঠের টিনের বেড়া ভাঙচুর করেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ) করা হয়। এর আগে গত নভেম্বরে নারায়ণগঞ্জে আপত্তির মুখে দুই দিনব্যাপী ‘মহতি সাধুসঙ্গ ও লালন মেলা’ বন্ধ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ওই মেলা পরিচালনার অনুমতি দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।
গত ১ মার্চ রাজধানীর লালমাটিয়ায় চায়ের দোকানে ধূমপান করাকে কেন্দ্র করে দুই তরুণীকে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনায় সম্প্রতি রিংকু নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, এক তরুণীর ধূমপান নিয়ে আপত্তি তুললে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন। একপর্যায়ে রিংকু নামের ব্যক্তি তরুণীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও শারীরিক লাঞ্ছনার চেষ্টা করেন।

মব জাস্টিসের কারণ ও প্রতিকার: দেশ ও পরিস্থিতিভেদে মব জাস্টিসের কারণ ভিন্ন হতে পারে। তবে এর পেছনে মূল একটি কারণ হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা কমে আসা।

নাইজেরিয়ায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক ইসা স্যানুসি বলেন, উচ্ছৃঙ্খল জনতার সৃষ্টি করা সহিংসতা দমনে এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা মব জাস্টিসের প্রতি মানুষকে আরও আগ্রহী করে তোলে। এই সমস্যাকে আরো জোরদার করে তোলে দুর্বল ও দুর্নীতিপরায়ণ আইনি ব্যবস্থা।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও আইনশৃঙ্খলার অবনতিকে বড় একটি কারণ হিসেবে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধবিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিপূর্ণভাবে সক্রিয় না থাকলে মব জাস্টিস সক্রিয় হয়ে ওঠে। সমাজের বিভিন্ন অংশ তখন নিজেদের স্বার্থ আদায়ের জন্য একত্রিত হয়ে বিশৃঙ্খলা করে। কোনো একটি দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পরে বা রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে অনেকে অভ্যুত্থানকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দিতে চান বা অভ্যুত্থান থেকে নিজের স্বার্থ আদায় করতে চান। এই ব্যক্তিদের ইন্ধনে বিভিন্ন গোষ্ঠী প্রভাবিত হয়। বাংলাদেশেও সেটি হচ্ছে।

মব জাস্টিস নিয়ন্ত্রণে করণীয় কী— সে প্রসঙ্গে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা ইসা স্যানুসি ও অপরাধবিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হকের ভাষ্য অনেকটাই একই। তারা দুজনই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করার বিষয়ে মত দিয়েছেন।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনায় ১০ টাকার ইফতার

দেশে সাধারণত ইফতার মানেই খেজুর, মুড়ি, ছোলা, পেঁয়াজ...

৭৩ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে বাটার মোড়ের জিলাপি

দীর্ঘ ৭৩ বছর ধরে ইফতারে রাজশাহীর বাটার মোড়ের জিলাপ...

যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে ২০ মৃত্যু 

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে টর্নেডো এবং তীব...

পাঁচ জেলায় মৃদু তাপদাহ, বাড়তে পারে গরম

দেশের পাঁচটি জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু তাপদাহ। আবহাও...

ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ কর্মী ছুটিতে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ভয়ে...

ট্রেনে ঈদযাত্রার ২৭ মার্চের টিকিট: ৩০ মিনিটে সার্ভারে হিট দেড় কোটি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আন্তঃনগর ট্রেনের আসনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছ...

ওআইসিভুক্ত ১৯ দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে ইসি

ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (ওআইসি) ১৯ দেশের বাংলাদেশ মিশন প্রধানদের সঙ্গে বৈ...

‘ইনশাল্লাহ আমরা উইন খরমু’

অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে এসে পৌঁছালেন হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশ স...

‘ধর্ষণ’ শব্দে আপত্তি, সমালোচনার মুখে দুঃখ প্রকাশ ডিএমপি কমিশনারের

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন নিয়ে বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিএমপি কম...

বুকিং স্লিপ কারসাজি; বিপাকে আলুচাষী

আলু উৎপাদনের অন্যতম জেলা জয়পুরহাটে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন হাজার ৪৭০ হেক্...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা