ফেনীর সোনাগাজীতে মাটি ব্যবসার দ্বন্দ্বের জেরে যুবদলের দু'পক্ষের সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক গৃহবধূসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। মধ্যরাতে আহতদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লুট ও হামলার আলামত সংগ্রহ করা গেলেও কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান সোনাগাজী থানার ওসি।
জানা গেছে, সোনাগাজীর কাজিরহাট এলাকাজুড়ে অবৈধভাবে কৃষিজমির মাটি বেচা-কেনা চলে আসছে। এ নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দু'পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধের সুত্রপাত হয়। এরই জেরে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কাজিরহাট বাজারে বগাদানা ইউনিয়ন যুবদল নেতা মোশারফ হোসেন ফারুক ও তার ভাই জাহিদের নেতৃত্বে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ফখরুল ইসলাম সুমন এবং সহযোগী মঈন উদ্দিন ও রকির উপর হামলা চালানো হয়। এতে উভয় গ্রুপের ৭জন আহত হয়। মধ্যরাতে আবার রকি মঈন উদ্দিনের বাড়িতে হামলা ভাংচুর, লুটপাট অগ্নিসংযোগ করে ফারুকের সহযোগীরা। এতে অন্তঃস্বত্বা গৃহবধূসহ আরও তিনজন আহত হয।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন মঈন উদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, বাজারে বিরোধের ঘটনায় মোশারফের নেতৃত্বে অস্ত্রধারী ১০/১২ সন্ত্রাসী বাড়িতে এসে তাকে মারধোর ও শ্লীলতাহানি করে। বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন দেয় তারা।
এ ব্যপারে যুবদল নেতা মোশারফ হোসেন ফারুক বলেন, উপজেলা যুবদল নেতা ফখরুল ইসলাম সুমনের নেতৃত্বে মঈন উদ্দিন, জসিম ও ফারুক তাদের দুই ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
সোনাগাজী থানার ওসি বায়েজীদ আকন বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করেছে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের টহলদল। মোশারফের বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হামলায় জড়িতরা পলাতক হওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান ওসি।
আমারবাঙলা/ইউকে