জয়পুরহাটের কালাইয়ে একই রাতে দুটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি এ দুটি বিয়ে বন্ধ করে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে অর্থদন্ড করেন ।
একটি বিয়েতে বরকে ১০ হাজার টাকা অন্য বিয়েতেও বরের বাবাকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমান এবং তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেন ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদরের ধারকি গ্রামের মৃত হাফিজার রহমানের ছেলে আবু হানিফের সাথে কালাই পৌরসভার আকন্দপাড়ার মৃত নজির উদ্দিনের ৮ম শ্রেনির পড়ূয়া মেয়ে (১৪) কালাই সরকারি হাসপাতালের দক্ষিন পার্শে আওলাদ হোসেন তালুকদারের বাড়িতে বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এবং মেয়ের মাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন।
অপর দিকে উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের কুসুমসারা হিন্দুপাড়া গ্রামের একটি সনাতন ধর্মের মেয়ে বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বরের বাবা অমূল্য চন্দ্রকে ১০ হাজার টাকা এবং মেয়ের বাবাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, একই রাতে প্রায় ২ ঘন্টার মধ্যে বাল্যবিবাহের গোপন সংবাদ আসে। একটি কালাই সরকারি হাসপালের দক্ষিন পার্শে অষ্টম শ্রেনী এক ছাত্রীকে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ছেলেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিতে না পারে, সেজন্য মাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যটি উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের কুসুমসারা হিন্দুপাড়া গ্রামে সনাতন ধর্মের বাল্যবিয়ের অপরাধে বরকে ১০ হাজার টাকা এবং মেয়ের বাবাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেও যদি আইন অমান্য করে মেয়ে দুটিকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।িআমারবাঙলা/ইউকে