বগুড়ায় অপারেশন ডেভিল হান্ট পৃথক অভিযানে দুই আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। এসময় বিপুল পরিমাণ গাঁজা এবং টাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ সাতজন কারবারির বিরুদ্ধে বগুড়া সদর ও ধুনট থানায় মামলা করে পুলিশ। শেরপুর উপজেলায় গ্রেপ্তার দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, রোববার জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিশেষ অভিযান এবং ধুনট থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ২৪ কেজি গাঁজাসহ টাপেন্টাডল জব্দ করা হয়। মাদকের চালানসহ হাতেনাতে আটক করা হয় সাতজন কারবারিকে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
বগুড়া সদরে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন - নাটোর সদরের চক বৌদ্ধনাথপুর মহল্লার সোহেল রানা (৩৫), তানভীর হোসেন (২০), লেংগুড়িয়া সুগারমিল এলাকার রইচ উদ্দিন (৩৭), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী নামাটারি এলাকার জেলি জেসমিন (৩০) ও বগুড়ার কাহালু উপজেলার দামপাড়া তিনদিঘী হাটের কামরুজ্জামান (৪৫)। ধুনট উপজেলায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন - গাইবান্ধা সদরের কিশামত এলাকার রফিকুল ইসলাম (৪২), বাড়ুইপাড়ার ওয়াদুদ মিয়া (৪৬)। গ্রেপ্তার নারীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর ও ধুনট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বগুড়ার মাটিডালিতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে প্রাইভেটকার তল্লাশি চালিয়ে ৮ কেজি গাঁজাসহ চারজন কারবারি, সদরের বারপুর এলাকায় ২শ পিস টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ একজন এবং ধুনট উপজেলার চেকপোস্টে সিএনজি তল্লাশি চালিয়ে ১৬ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে রোববার রাতে শেরপুর উপজেলার খন্দকারটোলা এবং গাড়ীদহ ফুলবাড়ি মধ্যপাড়া থেকে দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- শেরপুর কুসুম্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও গাড়ীদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম কিরণ। তাদেরকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, গত ২ নভেম্বর দায়ের করা মামলায় তদন্তেপ্রাপ্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আমারবাঙলা/ইউকে