‘ছাগল–কাণ্ডে’ আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার প্রথম স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে এখনো জানা যায়নি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি–মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজকে রাজধানীর বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এই দম্পতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। সর্বশেষ ৬ জানুয়ারি অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মতিউর রহমান ও তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, তাদের ছেলে তৌফিকুর রহমান ও মেয়ে ফারজানা রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর মতিউর ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।
গত কোরবানি ঈদে ১৫ লাখ টাকায় (প্রাথমিক দর) ‘উচ্চবংশীয়’ ছাগল কেনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাত। এর পর থেকে তার বিলাসী জীবনযাপনের নানা তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এই ছাগল-কাণ্ডের জেরেই আলোচনায় আসেন ইফাতের বাবা এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান। তখন মতিউর রহমানের ছেলের দামি ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের তথ্য সামনে আসতে শুরু করে।
পরে ওই বছরের ২৩ জুন মতিউরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। ২৫ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ফোন আর্থিক সেবার (এমএফএস) হিসাব ও শেয়ারবাজারের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দের নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ।
একপর্যায়ে মতিউরকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে যুক্ত করা হয়। সরিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে সরকার মনোনীত পরিচালক পদ থেকেও।
আমারবাঙলা/এমআরইউ