ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান।
তিনি বলেন, তাহজীব সিদ্দিকীকে হত্যা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ঝিনাইদহ সদর থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুইবারের সংসদ সদস্য তাহজীব মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে ছাত্রলীগকে নেতৃত্ব দেওয়া নূরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে; যিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ চার ছাত্র নেতার একজন, যাদের সে সময় ‘চার খলিফা’ হিসেবে অভিহিত করা হত। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নূরে আলম সিদ্দিকী ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন, পরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তাহজীব ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য হলেও ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে হেরে যান।
গণ আন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর একে একে গ্রেপ্তার হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যরা।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার তাহজীবের গ্রেপ্তারের খবর দিল র্যাব।
র্যাবের সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় সাবেক এ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় করা তিনটি মামলার তথ্য দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সাবেক এমপি তাহজীব গত ১৯ আগস্ট বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা একটি মামলার তিন নম্বর আসামি, ২৪ আগস্ট বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা একটি মামলার দুই নম্বর আসামি এবং ২৭ আগস্টের একটি হত্যা মামলার পাঁচ নম্বর আসামি।
ঝিনাইদহে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আবদুস সালাম হত্যার ঘটনায় ১১ বছর পর গত ২৭ আগস্ট হত্যা মামলাটি করেন নিহত ব্যক্তির শ্বশুর ও কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক।
মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগের ২৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ-২ (সদর আংশিক ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা) আসন থেকে তাহজীব আলম ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদে আসেন।
আমারবাঙলা/এমআরইউ