মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এবার নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিন ব্রিটিশ আইনজীবী। এতে করে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ব্যারিস্টার আশরাফুল আরেফিনসহ তিন ব্রিটিশ আইনজীবী গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক মন্ত্রী এবং প্রভাবশালী কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে মামলাটি করেন।
আশরাফুল আরেফিন ছাড়া বাকি দুজন হলেন, যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার আইনজীবী ব্যারিস্টার সারাহ ফোরে ও ব্যারিস্টার এমিল লিক্সান্দ্রু।
গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্যারিস্টার আশরাফুল আরেফিন। তবে কবে তিনি মামলাটি করেছেন সংবাদ সম্মেলনে তা বলেননি।
আশরাফুল আরেফিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন সরকার নির্বিচারে গুলি, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র, যেমন - বার্ডশট পেলেট এবং তাজা গুলি ব্যবহার করে।’
তিনি আরো বলেন, প্রমাণ মুছে ফেলার জন্য ডেড বডি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, মানুষকে গণকবর দেওয়া হয়েছে। এর সবই আন্তর্জাতিক আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধ।
ব্যারিস্টার আরেফিন বলেন, মামলায় ভুক্তভোগীদের ওপর সংঘটিত সহিংসতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন এবং ব্যাপক নিপীড়নের দলিলসহ ব্যাপক প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে সাক্ষী, ভিডিও প্রমাণ এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে। এ ছাড়া, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করারও আবেদন করা হয়েছে।
লন্ডনে এ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসে এক নৃশংস ইতিহাসের সাক্ষী হয়েছিল বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিকভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে ভারত বিশ্ব সম্প্রদায়কে সহযোগিতায় বাধ্য হবে বলেও মনে করেন তারা।
আইসিসির রোম সংবিধির ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে মামলাটি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এ সংবিধির আওতায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার বিচার এবং আইনি সহায়তা দেওয়া হয়।
আমার বাঙলা/আরইউ