চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের (বলাৎকার) ঘটনায় মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে শিবগঞ্জ গৌড় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মাওলানা রফিকুল ইসলামের চাচাতো ভাই আবদুল আলিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বংশীয় কোন্দলের জের ধরে স্থানীয় আমিনুল ইসলাম, জোবদুল হক ও সাজুরুদ্দিনসহ ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হয়রানি ও হেনস্তা করে আসছেন। এমনকি পারচৌকা এবতেদায়ী মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষক ৭২ বছর বয়সী আলহাজ দাউদ হোসেনকেও শিশু নির্যাতনের (বলাৎকার) মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। মাওলানা রফিকুল ইসলাম একজন সৎ ব্যক্তি দাবি করে লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে একাধিক নুরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন।
এদিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ৫ মার্চ বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পারচৌকা মাদ্রাসা বাজারে মুদি দোকানী বাবুল আকতারকে অতর্কিত হামলা করে গুরুত্বর জখম করে আমিনুল ইসলাম, জোবদুল হক ও সাজুরুদ্দিনসহ ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওইদিন মাওলানা রফিকুল ইসলামের চাচা ইয়াসিনের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করে।
পৃথক ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় এজাহার দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দাউদের ছেলে শামীম রেজা, রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান ও হাসান আলী প্রমূখ।
আমারবাঙলা/ইউকে