সংগৃহীত
সারাদেশ

নীলফামারীতে ভুট্টার ফলন আশা জাগাচ্ছে 

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। এবার আবহাওয়া অনুকূলে ও উন্নত প্রযুক্তির কারণে ভালো ফলনের সম্ভাবনা জেগেছে। আগাম জাতের ভুট্টাগাছে ইতোমধ্যে মোচা বের হওয়া শুরু হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরর সূত্র জানায়, জেলায় গত বছর ছয় উপজেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৮ হাজার ৩২৩ হেক্টর। এবার গত বছরের চেয়ে অতিরিক্ত জমি চাষের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৬৩৯ হেক্টর।

এর মধ্যে নীলফামারী সদরে চার হাজার ১০০ হেক্টর, সৈয়দপুরে ৫৪০ হেক্টর, ডোমারে পাঁচ হাজার ৫০ হেক্টর, ডিমলায় ১৫ হাজার ৯৩০ হেক্টর, জলঢাকায় চার হাজার ৮৮২ হেক্টর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় তিন হাজার ৪৬০ হেক্টর। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ২২ হাজার ৮৮২ মেট্রিক টন।

নীলফামারী সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের দীঘলটারী গ্রামের কৃষক আবু কালাম জানান, বিগত কয়েক বছরে ভুট্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলের চাষিরা দিন দিন ভুট্টার দিকে ঝুঁকছেন। এ ছাড়া তিস্তা তীরবর্তী অঞ্চলসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে ব্যাপক হারে ভুট্টা চাষ হয়েছে; যা কৃষকদের অর্থনৈতিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ইতিবাচক সারা ফেলছে।

একই উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের ভুট্টাচাষি মোখলেছুর রহমান বলেন, আগে এই এলাকায় তামাক, গম ও পাট চাষ বেশি হতো। তবে এখন মানুষের নানা ধরনের খাবারসহ গবাদি প্রাণী, মাছ ও হাঁস, মুরগির ও কবুতরের খাদ্য হিসেবে বাজারে ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ কারণে আমরা বেশি পরিমাণে ভুট্টা চাষ করছি। বাজারে দামও ভালো, এতে করে কৃষক লাভবান হচ্ছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ জানান, চলতি মৌসুমে সদর উপজেলায় চার হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কৃষকদের লাভ ও আগ্রহের কারণে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের টেপাখড়িবাড়ী গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান জানান, তিস্তা নদীর দুই তীরে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। যেদিকে, চোখ যায় শুধু ভুট্টা আর ভুট্টা। চরগুলোতে শুধুই বালুচর দেখা গেলেও, এখন সেখানকার মানুষ ভুট্টা চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তবে কৃষকদের দাবি, সরকারিভাবে ভুট্টা ক্রয়কেন্দ্র চালু করা হলে তারা ন্যায্যমূল্য পেতেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) মোছা. শাহিনা বেগম বলেন, ‘কৃষকরা ভুট্টা চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। আমরা তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে তারা আরো ভালো ফলন পেতে পারেন। সরকারি সহায়তা ও বাজারব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলে নীলফামারীতে ভুট্টা চাষ আরো বেড়ে যাবে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জেলায় পাঁচ হাজার ৬৩৯ হেক্টর জমিতে ভুট্টার বেশী চাষ হয়েছে।’

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কানাডায় জয়ের পথে মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি

কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্...

কাশ্মীর সীমান্তে টানা পঞ্চমবারের মতো গোলাগুলি

কাশ্মীর সীমান্তে নিয়ন্ত্রণরেখা বা লাইন অব কন্ট্রো...

রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পেলে সব কাজ বিফলে যাবে: সিইসি

প্রবাসী ভোটিং পদ্ধতি বাছাইয়ে রাজনৈতিক দলসহ সব অংশীজনদের সমর্থন আশা করেন প্রধা...

মহাবিশ্বের কাঠামো কত বড়?

হারকিউলিস-করোনা বোরেলিস গ্রেট ওয়াল মূলত বিভিন্ন গ...

সাবেক সংসদ সদস্য তুহিনের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রকৌ...

শিল্পী বিপাশা গুহঠাকুরতার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

বিশিষ্ট নজরুল-সঙ্গীত শিল্পী বিপাশা গুহঠাকুরতার তৃত...

সাহাবিরা মহানবীর (সা.) আনুগত্য প্রদর্শনে অনন্য সব দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন

মহানবী হজরত মোহাম্মদের (সা.) আনুগত্য প্রদর্শনে সাহ...

হিটলারের মৃত্যু কীভাবে হয়েছিল, নতুন তথ্য

এডলফ হিটলার সারাবিশ্বে পরিচিত নাম। তিনি ছিলেন স্বৈ...

‘৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলা করতে পারে ভারত’

ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশের পেহেলগামে সন্ত্...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা