বগুড়ার নন্দীগ্রামে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ জনজীবন। বিশেষ করে পৌর এলাকায় ভয়াবহ ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার বিস্তার। দিন রাত ২৪ ঘন্টা মশার কামড় ও ভন-ভনি শব্দে নাজেহাল পৌরবাসী। বাসা বাড়ি সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা অফিসে দিনের বেলায় জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে মশার কয়েল। আর সন্ধ্যার পর মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে আরো কয়েক গুণ। মশা নিধনের জন্য প্রতি বছর পর্যাপ্ত বাজেট থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষ উদাসিন। এমনকি বিগত কয়েক মাসে ফগার মেশিনের আওয়াজ শোনেননি বলেও জানান পৌরবাসী।
এদিকে, মশার উৎপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। মশার কয়েল, স্প্রে কিংবা মশারি টাঙ্গিয়েও মশার উৎপাত থেকে রেহায় পাওয়া যাচ্ছেনা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার উৎপাত কয়েক গুন বেড়ে যাওয়ায় নাজেহাল এলাকার লোকজন। সেই সাথে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। এছাড়াও মশার উৎপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় ভয়ংকর স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে শিশুরা।
পৌরসভা এলাকায় বসবাসরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, নন্দীগ্রাম প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হলেও পৌরবাসী অনেকটায় অবহেলিত। পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় ময়লা আবর্জনা ও জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে মশার প্রজনন কয়েক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও রাস্তার মোরে মোরে রাখা ময়লা ফেলার ড্রাম নিয়মিত পরিস্কার না করা এবং মশা নিধনে দীর্ঘদিন কিটনাশক স্প্রে না করার কারনে মশার উৎপাত ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। আর এই সময়টুকুতেই মশা বাহী রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। সুতরাং সবাইকে শতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানান।
বিষয়টি নিয়ে, উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোসাঃ লায়লা আঞ্জুমান বানু'র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মশা নিধনে সকল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ড্রেন পরিস্কার এবং মশা নিধনে ফগার মেশিনে কিটনাশক স্প্রে করার জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
আমারবাঙলা/ইউকে