ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র পাংশা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মোঃ মহিউদ্দিন মানিককে মারধর করেছে প্রতিপক্ষরা। মাদ্রাসা ও বাড়ীর পথ আটকিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) দুপুরে পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের জীবননালা গ্রামে জীবননালা মহিলা মাদ্রাসা ও বাড়ীর পথ আটকিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় রোকন মিয়া ও মজনু মিয়া মহিউদ্দিন মানিককে বেধরক মারপিট করেছে।
মহিউদ্দিন মানিক পাংশা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মহিউদ্দিন মানিকের পিতা মোঃ আলাউদ্দিন জানান- আমার বাড়ীর উপর একটি মহিলা মাদ্রাসা রয়েছে। সে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আমার ছেলে হাফেজ মোঃ মহিউদ্দিন। বাড়ীর পাশ দিয়ে একটি সরকারি গলি রয়েছে। সে গলি দখল করে ঘর বানিয়ে রেখেছে রোকন মিয়া ও মজনু মিয়া। সেখান দিয়ে সরকারি ইটের রাস্তা হচ্ছে। সরকারি গলি বাদ দিয়ে আমাদের মাদ্রাসা ও বাড়ীর পথ বন্ধ করে রাস্তা নির্মান করার প্রতিবাদ করলে আমার ছেলে মহিউদ্দিন মানিককে মারপিট করা হয়।
এ ঘটনায় আমরা আইনের আশ্রায় নিব। রোকন মিয়া ও মজনু মিয়া বিগত ১৬ বছর আওয়ামীলীগের আমলে আমাদের নানা ভাবে হয়রানী করেছে এখনও জালাচ্ছে। আমার ছেলের গায়ে হাত দিয়েছে, মারপিট করেছে গালিগালাজ করেছে। আমরা নিরীহ প্রকৃতির মানুষ। আমাদের উপর এমন অত্যাচার আমরা মেনে নিব না।
ইসলামী আন্দোলন পাংশা উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান খবর পেয়ে দ্রুত পাংশা হাসপাতালে মহিউদ্দিন মানিককে দেখতে যান এবং এ ঘটনার ত্বীব্র নিন্দা জানিয়ে আইনের মাধ্যমে দোষীদের বিচার কামনা করেন।
আমারবাঙলা/ইউকে