রাজবাড়ী জেলা ছাত্রদল জেলার ১০টি কলেজ শাখার আংশিক কমিটি প্রদান করেছেন। রাজবাড়ী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ আরিফুল ইসলাম রুমান ও শাহিনুর রহমান শাহিন স্বাক্ষরিত এই সকল কমিটি প্রদান করা হয়। নতুন কমিটি দেওয়া কলেজসমূহের মধ্যে রয়েছে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ, ডা. আবুল হোসেন ডিগ্রি কলেজ, রাজবাড়ী আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজ, জামালপুর ডিগ্রি কলেজ, মীর মশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজ, কালুখালী সরকারি কলেজ, পাংশা সরকারি কলেজ, পাংশা মহিলা কলেজ ও মাছপাড়া ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি প্রদান করা হয়েছে।
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে সভাপতি আলমগীর মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক আলিপ হোসেন। এই কমিটির সভাপতি আলমগীর মণ্ডলকে নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। তিনি পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার তাজবীর হাসান সিসিলের অন্যতম সহযোগী বলে স্থানীয়রা বলছেন। পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর ছেলে খন্দকার তাজবীর হাসান সিসিলের ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে মাছপাড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অপরদিকে পাংশা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শামীমুর রহমান শোভন বিবাহিত বলেও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। মাছপাড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হওয়া আলমগীর হোসেন পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিসিলের সাথে তোলা ছবি ফেসবুকে তুলে ধরে তাকে সিসিল সৈনিক বলে কালো গোলাপের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাকিব আলী নামের এক ছাত্রদল কর্মী তার ফেসবুকে পোস্ট করলে তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
”রাকিব আলী” সিসিলের সাথে তোলা ছবি দিয়ে ক্যাপশনে ফেসবুক পোস্টে লেখেন- শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন মাছপাড়া কলেজ ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি সিসিল সৈনিক আলমগীর হোসেনকে রোমান ভাইয়ের পক্ষ থেকে কালো গোলাপের শুভেচ্ছা।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী বলেন- এ নিয়ে কথা বলতে চাই না, আমরা রাজপথে থেকেও যখন ছাত্রলীগের সহযোগীরা একটি ইউনিটের সভাপতি হতে পারে এ নিয়ে মন্তব্য করে আর কি হবে, আমরা ছাত্রদলের কর্মী হিসেবেই গর্ব করি।
পাংশা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক পরীক্ষিত নেতা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ আরিফুল ইসলামের নিকট বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্রদল একটি পরিচ্ছন্ন সংগঠন। এখানে আওয়ামী দোসররা থাকলে অবশ্যই জেলা কমিটি বিবেচনা করবেন। তবে শুনেছি এবং ফেসবুকে দেখলাম মাছপাড়া ডিগ্রি কলেজের সভাপতি হওয়া আলমগীরকে নিয়ে কথা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি বুড়ো চেয়ারম্যানের ছেলে অসংখ্য অপরাধে অপরাধী সিসিলের সাথে ওই ছেলের ছবি ফেসবুকে দেখতে পেয়ে কষ্ট হয়েছে। আমি মনে করি, ছাত্রদল একটি সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান। এখানে কোনো আওয়ামী দোসর, বিবাহিত বা অছাত্র আসার সুযোগ নেই। জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
আমারবাঙলা/ইউকে