বসন্তের আগমনী বার্তা নিয়ে পত্র পল্লব ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। বছর ঘুরে আবারো তাই ব্যাকুল হয়ে উঠছে আম গাছ চাষীদের মন। মনোহরদীর আম গাছগুলো সোনালি মুকুলে ছেয়ে মধু মাসের আগমনী বার্তার জানান দিচ্ছে।মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে মনোহরদীর আমগাছগুলো।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আম গাছগুলোতে আগেই দেখা মিলছে মুকুলের। গত বছরের তুলনায় এবার মুকুল বেশি এসেছে। মনোহরদী উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে আমের মৌ মৌ গন্ধ। মনোহরদী উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, আম গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল আর মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে গেছে আম গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ।
মনোহরদী উপজেলার গ্রাম অঞ্চল গুলো ঘুরে দেখা যায় বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। (এর মধ্যে কলমের চারাও অনেক আছে)। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। প্রায় ৮০ শতাংশ গাছেই মুকুল এসেছে। গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই কৃষকগণ গাছের পরিচর্যা করে আসছেন। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাধার সময় কোন সমস্যা সৃষ্টি না হয়।
আম চাষী মহসিন জানান, পুরোপুরিভাবে এখনো সব গাছে মুকুল আসেনি। সপ্তাহ দুই একের মধ্যে সব গাছে মুকুল আসবে বলে জানান। মনোহরদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রুনা আক্তার বলেন, “মুকুল হওয়ার সময় টিতে সঠিক পরিচর্যা বা সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা হলে মুকুট জোরে যাওয়ার বা রোধ করা সম্ভব। মাঠ পর্যায়ে বা ব্লক পর্যায়ে আমরা বিভিন্নভাবে কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি।” তিনি আরো বলেন, “আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। তবে ছত্রাক জনিত রোগেও আমের মুকুল বা গুটি আক্রান্ত হতে পারে।এ ব্যাপারে আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কোন সমস্যা হলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগনের সাথে পরামর্শ করতে বলা হয়েছে।”
আমারবাঙলা/ইউকে