নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সর্বত্রই যেন বিশৃঙ্খলা আর সীমাহীন দুর্ভোগ। মেয়র এবং কাউন্সিলর না থাকার ফলে সর্বত্রই অচলাবস্হার সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোন শৃঙ্খলা নেই। আছে শুধু বিশৃঙ্খলা আর ভোগান্তি। এমন অচলাবস্হায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মধ্যে নেই কোন কর্মস্পৃহা।
জনপ্রতিনিধিবিহীন এই নগরে তারা যেন নির্বিকার। পুরো শহর পরিণত হয়েছে যানজটের নগরীতে। নিবন্ধনহীন অবৈধ অটো রিক্সার অবাধ দৌরাত্ম্যে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক এবং শায়েশ্তা খাঁ সড়কসহ শহরের মহল্লার সড়কগুলোতেও সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তীব্র যানজট লেগেই থাকে।
প্রধান প্রধান সড়কের দুই পাশেই হকারদের দখলে থাকার কারণে পাঁয়ে হেঁটে চলাচল করাও দায়। সিএনজি,ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা এবং লেগুনার মোড়ে মোড়ে অবৈধ স্ট্যান্ড সহ অন্যান্য গাড়ির অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে যানজট দিন দিন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।শহরের বেশীরভাগ সড়ক বাতি নষ্ট হয়ে আছে, ফলে সন্ধ্যা হলেই ঘোর অন্ধকার নেমে আসে।শহর পরিণত হয় ছিনতাইকারীদের স্বর্গরাজ্যে। প্রতিদিনই প্রকাশ্যে ছিনতাইকারীর কবলে পরে বহু মানুষ সর্বশান্ত হয়ে ঘরে ফিরছে। অপরিকল্পিত ভাবে যত্রতত্র খোড়াখুড়ি এবং ময়লা আবর্জনার স্তূপের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। জন্ম এবং মৃত্যু সনদ নিতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সেবা প্রত্যাশীদের। সব মিলিয়ে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে প্রাচ্যের ডান্ডী খ্যাত এই নারায়ণগঞ্জ শহর।
সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস বলেন - জনপ্রতিনিধিহীন এই শহরে পূর্বে কোনদিন এমন অচলাবস্হার সৃষ্টি হয়নি। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাকির হোসেন বলেন, আমাদের প্রশাসক সাহেব মূল দায়িত্বের পাশাপাশি এই সিটিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে সপ্তাহে দুই দিন কাজ করে সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
প্রশাসক এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, আমি এখানে নতুন, সকল সমস্যা তো একসঙ্গে সমাধান করা সম্ভব না। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে কাজ আগে করা দরকার তা আমরা সে বিবেচনায় নিচ্ছি।
আমারবাঙলা/ইউকে