সংগৃহীত
সারাদেশ

প্রধান উপদেষ্টার দেখা পেতে ঢাকার পথে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী

খুলনা ব্যুরো

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য, উপ উপাচার্যকে অপসারণ এবং নতুন নিয়োগসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এজন্য সকাল ৮টায় দুটি বাসে ৮০ শিক্ষার্থী ঢাকায় রওনা দিয়েছেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাথায় ও চোখে লাল কাপড় বাঁধা ছিল।

যাত্রা শুরুর আগে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে তারা নিরাপত্তাহীন। এজন্য তাদের দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে করে স্মারকলিপি জমা দিয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যাবেন। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে ফিরবেন না তারা। অনলাইনে কার্যক্রম চলবে।

তারা বলেন, ভিসিসহ কিছু শিক্ষক বলার চেষ্টা করছেন আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বক্তব্য। হামলাকারীরা স্পষ্ট এবং চিহ্নিত কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। রক্তাক্ত কুয়েট প্রদর্শনীতে অস্ত্রধারীদের নাম পরিচয়, ছবি বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

তারা আরো বলেন, ঘটনার পাঁচ দিন পরেও সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহায়তার আশ্বাস আসেনি। আমাদের নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর চাপাতি, রামদা দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে; যা জুলাই বিপ্লবের পর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন হামলা করতে কেউ সাহস করেনি । অথচ এই হামলায় আমাদের শিক্ষার্থীদের মাথা ফেটে গেছে ,হাত তিন টুকরো হয়ে গেছে।

যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই বিপ্লবের উপর দাঁড়িয়েছে সেই সরকার আমাদের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরার পরও যোগাযোগ করেনি। সেই সরকারকে আমাদের রক্তের দায় নিতে হবে। ইমেইলের মাধ্যমে স্মারকলিপি পাঠানোর তিন দিন পার হয়েছে, কিন্তু সরকারের থেকে কোনো সাড়া পাইনি। এই ক্যাম্পাস আমাদের জন্য সেফ না। যেখানে হামলার পর সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সেখানে কুয়েটের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া কেউ নেই। আমাদের নিরাপত্তা এখন আমরাই দিয়ে যাচ্ছি।

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ক্যাম্পাসের বাইরে যেসব শিক্ষার্থী থাকে, তাদের বাড়িওয়ালা বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছেন। তারা অনেক জায়গা থেকে হুমকি পাচ্ছেন। আমরা সবাই আতঙ্কিত, আমাদের পরিবার আতঙ্কিত। আমরা ক্যাম্পাসের ভেতরে-বাইরে সেইফ না । আমরা অভিভাবকহীন। আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কেউ নেই।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন।

আমারবাঙলা/এমআরইউ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

দিনাজপুর রেলওয়ে অফিসে শ্রমিকের আত্মহত্যার চেষ্টা

দিনাজপুর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (এ.ই.এন) নারায়ণ প্রসাদ সরকারের বিরু...

প্রাথমিক-মাধ্যমিকের সাত কোটি বই ছাপাই হয়নি

শিক্ষাবর্ষের এক মাস ২১ দিন পার হয়েছে। দেশের সব শিক...

পোপ ফ্রান্সিস পদত্যাগ করতে পারেন

বয়সের ভারে ন্যুব্জ। শরীর ঠিকমতো চলছে না। বার্ধক্যজ...

খেলাধুলাসহ ভালো কাজে তরুণদের এগিয়ে আসার আহবান মহসিন মিয়া’র

বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা এগিয়ে আসায় দেশে পরিবর্তন এসেছে মন্তব্য করে ন্যাশনাল টি...

শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল চার্লসকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে কয়েক...

শ্রীমঙ্গলে শিশু উদ্যান ও পাবলিক লাইব্রেরি দখলমুক্ত করে সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের শিশু উদ্যান ও পাবলিক লাইব্রেরি অবৈধ দখলমুক্ত করে সংস...

মোবাইল অ্যাপেই দেওয়া যাবে যাকাত: ধর্ম উপদেষ্টা

বাংলাদেশের মানুষ এ বছর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে যাকাত দিতে পারবে বলে জানিয়েছেন...

‘পরিবেশ রক্ষায় গণমাধ্যমের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ন’

ফেডারেল রিপোর্টার্স সোসাইটি আজ রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) ঢাকা-টাঙ্গাইল ফোরলেন মহ...

২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪...

ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাঁচা মরার ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি আজ পাকিস্তান। ‘এ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা