সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় সুমন মিয়া (৩২) নামে দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বান্ড ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, গতকাল সাভার থেকে শিশু ও নারীসহ ১১ জনকে দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে সুমন মিয়া নামে আরো একজন আইসিইউতে মারা গেছেন। তার শরীরে ৯৯ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে, ভোরে শিউলি আক্তার নামে আরো একজন মারা যায়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এখনো ৬ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে শারমিনের ৪২ শতাংশ দগ্ধ, সোয়ায়েদের ২৭ শতাংশ দগ্ধ, মনির হোসেনের ২০ শতাংশ দগ্ধ, মাহাদীর ১০ শতাংশ দগ্ধ, ছাকিনের ১৪ শতাংশ, সোহেলের ১০ শতাংশ, সুরাইয়ার ৯ শতাংশ, সূর্য বানুর ৭ শতাংশ ও জহুরা বেগমের শরীরের ৫ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে।
নিহত শিউলি আক্তারের দেবর মো. জনি জানান, তার ভাবি তার দুই ছেলে মাহাদী ও সাকিনের মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় সাভারে ভাইয়ের বাসায় শবে বরাতের নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বেড়াতে গিয়েছিল। এ ঘটনায় শিউলির দুই ছেলেসহ শিউলির বড় ভাই সোহেল এবং ছোট সুমন ও দগ্ধ হয়েছে।পরিবারের সবার অবস্থাই খারাপ।
উল্লেখ্য, শনিবার সাভারের আশুলিয়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে রাত দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরী বিভাগে আনা হয়। দগ্ধরা হলেন-সূর্য্য বানু (৪৫), জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৫), সোহেল (৩৮), সুমন মিয়া (৩২), শিউলি আক্তার (৩২), শারমিন (৩৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (৭), সোয়ায়েদ (৪) ও সুরাইয়া (৩)।
আমারবাঙলা/জিজি