রংপুরের মিঠাপুকুরে নর্থ বেঙ্গল জুট মিলস প্রাইভেট লিঃ জবর দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নর্থ বেঙ্গল জুট মিলের বৈধ এমডি-মাহবুবুর রহমানকে জুট মিলের দখল-স্বত্ব ফেরত প্রদাণসহ মিলটি রক্ষা করে চালুর দাবি জানান মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানটির চাকরিচ্যুত প্রায় শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী।
গত মঙ্গলবার দুপুর ২টায় মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জুট মিলটি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি জাকির হোসেন সরকারের ইন্ধনে দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
বক্তব্যে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি নর্থ বেঙ্গল জুট মিলসের বৈধ এমডি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন তার দোসররা আদালতে মামলা থাকার পরেও মিলটির সাবেক চেয়ারম্যান-আবুল কাশেম, সাবেক পরিচালক ওয়েহেদ চৌধুরী, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলরাম শাহা এবং মিলটির প্রস্তাবিত ক্রেতা নুরুল ইসলাম (ডাবলু) মোটা আংকের টাকার বিনিময় জনতা ব্যাংকের কর্পোরেট শাখার এজিএম শামীম আহম্মেদের সঙ্গে এন্ড ইউজ ফরেন ট্রেড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল একডিট ডিপার্টমেন্টের এজিএম মোঃ সিরাজুল ইসলাম মাধ্যমে তৎকালীন জনতা ব্যাংকের এমডি মোঃ জব্বারকে মোটা অংকের টাকার ঘুষ দিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এবং আদালতে মামলা চলমান থাকার পরেও জুট মিলটির দ্বিতীয় প্রস্তাবিত ক্রেতা করেন নুরুল ইসলাম ডাবলুকে।
সুদ মাফের স্যাংশন লেটার নর্থ বেঙ্গল জুট মিলকে খেলাপী প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে এবং স্যাংশন লেটারে কোথাও কিস্তির সত্যতা নাই। অতএব, স্যাংশন লেটারে মোট ঋণ একবারে পরিশোধযোগ্য। জনতা ব্যাংকের বর্তমান এবং সাবেক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হযরত বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম ডাবলুকে প্রস্তাবিত ক্রেতা করেন, যাহা সম্পূর্ণ অবৈধ।
মাহবুবুর রহমান আরো বলেন, ব্যাংকের স্যাংশন লেটার ভূলের কারনে এবং ওয়ান ওয়ে এক্সিট বা একবারে টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে শর্ত দেয়। পরবর্তীতে তৎকালীণ আওয়ামী লীগের মাফিয়ারা গায়ের জোরে জুট মিলটি দখলে নেয়, যাহা আইনের চোখে সম্পূূর্ণ অবৈধ।
শ্রমিক নেতা নাহিদ বলেন, ‘পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা আড়াইশত শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছি। অন্যদিকে বৈধ মালিক হয়েও মাহবুবুর রহমান, অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মিলটি রক্ষা করতে পারছেন না। তবে আদালতে মামলা চলমান থাকায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নারাজ অভিযুক্তরা।’
আমারবাঙলা/জিজি