নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া: মাছের আঁশও হতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উৎস। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে টিএমএসএস এসইপি-ফিশারিজ প্রকল্পের মাছের আঁশ থেকে তৈরীকৃত জেলাটিন ঔষধ শিল্পের উপকরণসহ বিভিন্ন খাদ্য ও প্রসাধনী শিল্পে ব্যবহার হয় ।
গত সোমবার হোটেল মমইন বগুড়ায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত কর্মশালায় গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ এবং জিলাটিনের উৎপাদিত পণ্য উপস্থাপন করেন এসইপি-ফিশারিজ প্রকল্পের নিয়োজিত পরামর্শক, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম শফিউর রহমান।
তিনি তার উপস্থাপনায় মাছের আশঁ হতে জিলাটিন প্রাপ্তির উৎপাদনের বিভিন্ন ধাপ ও প্রক্রিয়াজাতকরনের কারিগরি বিষয় উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জিলাটিন উৎপাদানের অপার সম্ভাবনা রয়েছে যেহেতু বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যতম।
উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন টিএমএসএস এর প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম ।টিএমএসএস উপ-নির্বাহী পরিচালক মোঃ আব্দুল কাদের এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বগুড়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ,আদমদীঘি,কাহালু ও দুপচাচিয়া উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।
মৎস কর্মকর্তাগণ বলেন, টিএমএসএস এসইপি-ফিশারিজ প্রকল্পের জিলাটিন বিষয়ক কর্মকান্ডটি একটি নতুন ইনিশিয়েটিভ। এটাকে উদ্যোক্তা পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা গেলে দেশ অনেক লাভবান হবে। সেই সাথে সরকারী তরফ হতে সকল ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে বলে আশ^াস প্রদান করেন।
আরও বক্তব্য রাখেন টিএমএসএস উপ-নির্বাহী পরিচালক রোটারিয়ান ডাঃ মোঃ মতিউর রহমান, উপ-নির্বাহী পরিচালক মোঃ সোহরাব আলী খান, টিমএমএসএস এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং মৎস্য খাতের লীড উদ্যোক্তা, মাছের খাদ্য তৈরীর মিল মালিকসহ অন্যান্য উদ্যোক্তাগণ।
সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিএমএসএস সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোঃ আব্দুল কুদ্দুস।
এবি/এইচএন