চাঁদপুরের হাইমচরের মাঝিরচর খালের মুখে নোঙর করা লাইটার জাহাজ এম ভি আল বাখেরা জাহাজে সাত খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় আকাশ মন্ডল ইরফান (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁকে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর ) সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় র্যাব।
এর আগে গতকাল দায়ের করা মামলায় জানা যায়, জাহাজে মাস্টার-ড্রাইভারসহ ৯ জন স্টাফ কর্মরত ছিলেন। কিন্তু ঘটনায় নিহত ৭ জন ও ১ জন আহত হলেও বাকি ১ জনের খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। আর ওই ব্যাক্তিই হলেন বাগেরহাটের আকাশ মন্ডল ইরফান। কথা বলতে অপারগ জাহাজের সুকানি জুয়েল লিখে এ তথ্য জানান।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ৭ জনকে খুনের ঘটনায় মামলা করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ। মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা ডাকাত দলকে।
বাদী জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ মামলার এজাহারে আহত ও খুন হওয়া ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করেন। হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিরা হলেন—মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার মো. সজিবুল ইসলাম, লস্কর মো. মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, সালাউদ্দিন, আমিনুর মুন্সী ও বাবুর্চি রানা কাজী। এ ছাড়া আহত হয়েছেন সুকানি মো. জুয়েল।
মামলার বাদী এজাহারের বিবরণে আরও উল্লেখ করেন, আহত জুয়েলের গলায় জখম থাকায় কথা বলতে না পারায় ডাকাত দলের বিস্তারিত বিবরণ দিতে পারেনি। সে সুস্থ হলে ডাকাত দল দেখলে চিনবেন বলে ইশারায় জানায়। তবে জাহাজে ৯ জন ছিল বলে লিখে জানিয়েছেন জুয়েল। ৯ নম্বর ব্যক্তির নাম ইরফান। তবে তাঁর ঠিকানা দিতে পারেনি।
এছাড়াও নৌ-পুলিশ জানিয়েছেন, আহত জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে জাহাজে খুন হওয়া ৬ জনের মরদেহ মঙ্গলবার বিকেলে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসক মহসীন উদ্দিন ও নৌপুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। ওই সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারের স্বজনদের ২০ হাজার টাকার চেক ও নৌপুলিশের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। বাবুর্চি রানা কাজীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত না হওয়ায় তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়নি।
আমার বাঙলা/ এনআর