বগুড়া জেলা কারাগারে আটক আরও এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মতিন মিঠু (৬৫) নামের ওই নেতা মারা যান। তিনি উপজেলার দূর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এ নিয়ে গত এক মাসে বগুড়ায় কারা হেফাজতে থাকা চার আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হলো।
গত ৩ নভেম্বর আব্দুল মতিন মিঠুকে হত্যা ও বিষ্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলাগুলো গত ৫ আগস্টের পরে হয়েছে বলে জানিয়েছে বগুড়া জেল কর্তৃপক্ষ।
বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শাহ শরীফ বলেন, 'আব্দুল মতিন মিঠু আজ দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় সকালে তিনি মারা যান।'
আব্দুল মতিন কোনো ধরনের অসুস্থতায় ভুগছিলেন কিনা জানতে চাইলে শাহ শরীফ বলেন, 'তার তেমন কোন অসুখ ছিল না।'
কারাগারে এক মাসের ভেতর চার আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর প্রসঙ্গ উল্লেখ করলে তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগ নেতারা হঠাৎ করে জেলে এসে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আগে মৃত্যু হওয়া তিনজন বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ নিয়ে কারাগারে এসেছিলেন।'
এর আগে কারা হেফাজতে থাকাকালীন গত ১১ নভেম্বর মারা যান বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রতন। ২৬ নভেম্বর মারা যান জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু। এর একদিন পর ২৫ নভেম্বর মারা যান বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ।
কারা সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলা কারাগারে একজন স্থায়ী মেডিকেল অফিসারের পদ থাকলেও সেটা শূন্য আছে। কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সিভিল সার্জন অফিস থেকে চিকিৎসক আনা হয়।
এ ব্যাপারে জেলার শাহ শরীফের বলেন, 'আমরা চাহিদা দিয়েছি । হয়তো শীঘ্রই ডাক্তার পেয়ে যাব। তবে সিভিল সার্জন অফিসের একজন মেডিকেল অফিসার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এখানে এসে নিয়মিত রোগী দেখেন।'
বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার মন্তব্য, 'কেবল বগুড়া জেলেই কেন এত আওয়ামীগ নেতার মৃত্যু হচ্ছে? বিষয়টি রহস্যজনক।'
আমার বাঙলা/এনবি