পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার ১নং আমখোলা ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামের সত্যরঞ্জন পাটনীর পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবারের (৮ ডিসেম্বর) ওই সংবাদ সম্মেলনে সত্যরঞ্জন পাটনী বলেন, “আমরা দীর্ঘকাল ধরে পৈত্রিক বসতভিটায় বসবাস করছি এবং নাল জমি চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। কিন্তু সম্প্রতি কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি আমাদের বসতভিটা ও জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এই ব্যক্তিরা আমাদের জমির ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে এবং কচু কেটে নিতে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমাদের সম্মানহানি এবং উচ্ছেদ করার প্রচেষ্টা চলছে। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।” সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পারুল রানী মাঝি, সুখু রানী পাটনি, স্মৃতি রানী পাটনি, মিষ্টি রানী মাঝি, জোৎসনা রানী মাঝি, নুপুর রানী মাঝি, সত্য মাঝি প্রমুখ।
এ সময় তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বাদশা আলম উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা গলাচিপা সহকারী জজ আদালতে ১২২৮/২০২১ নম্বর মামলায় ৫৮. সাড়ে ৪২ শতক জমির বণ্টন নিয়ে একটি রায় পাই। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে কিছু ব্যক্তি আপিল করেন, তবে আপীল আদালতও আমাদের পক্ষে রায় দেয়।”
তিনি আরও বলেন, “ফাইনাল ডিক্রী পেয়ে আমরা ০৬/২০২৪ নং দেং ডিক্রী জারি করি এবং বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে অ্যাডভোকেট কমিশনার আমাদের জমিতে মাপঝোপ করে, ঢোলসহ নিশান এবং স্থায়ী পিলার স্থাপন করেন। ফলে, আমরা আমাদের ভূমিতে ধান ফলিয়েছি।”
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সম্প্রদায়ের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার কাছে সাহায্য চেয়ে বলেন, “আমরা নিজেদের জীবিকা এবং জমি রক্ষার্থে সরকারের সহায়তা কামনা করছি।”
আমার বাঙলা/এনবি