ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে দুই দেশের স্থলবন্দর বন্ধ হয়ে যাবে এমন গুজব শোনা গেলেও বাস্তবে কোনো প্রভাব পড়েনি সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে।
বৃহস্পতিবার সকালেও স্বাভাবিক রয়েছে ভোমরা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার। দেশের সমসাময়িক পরিস্থিতিতে যাত্রী চলাচলে কোনো প্রভাব ফেলেনি বলে নিশ্চিত করেছেন ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন ১০ হাজার ৭৫৬ জন এবং ভারতে প্রবেশ করেছেন ১১ হাজার ৫৩৭ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী। এর আগের মাসে অর্থাৎ অক্টোবর মাসে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন ১০ হাজার ১৩৫ জন এবং ভারতে যান ১১ হাজার ২২৫ জন। এছাড়া দৈনিক দুই দেশের প্রায় ৭০০ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী নিয়মিত যাতায়াত করছেন।
ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়া এক যাত্রী মোমিনুর রহমান বলেন, ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতের বসিরহাট জেলার ঘোজাডাঙা বন্দর মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশিদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমি নিয়মিত ব্যবসার কাজে ভারতে যাই। কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই যাতায়াত করতে পারছি। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সহজ। ৫ আগস্টের আগে ইমিগ্রেশনে টাকা ছাড়া কাজ করত না কেউ। এখন সেটা বন্ধ আছে।
অপর এক যাত্রী সামিউল ইসলাম বলেন, আমি প্রায় সময় কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে যাই। সেখানে কোনো সমস্যা নেই। চিকিৎসকরা ভালোভাবেই দেখেছেন। কলকাতায় হোটেল নিতেও সমস্যা হয়নি। এছাড়া ঘোজাডাঙ্গা বন্দর হয়ে বাংলাদেশে আসার পথে কোথাও সমস্যা হয়নি।
ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা আরেক যাত্রী জানান, আমার ছেলেকে নিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। ইমিগ্রেশনের সার্ভিস অনেক ভালো, কোনো সমস্যা হয়নি।
ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ইনচার্জ মোল্যা মো. নকীবুল্লাহ বলেন, পাসপোর্টধারী যাত্রীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করছেন। আমি ২ মাস এখানে এসেছি সেখান কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করছেন। দেশের সমসাময়িক ইস্যুতে যাত্রী পারাপারে কোনো প্রভাব পড়েনি। পরিস্থিতি খুব স্বাভাবিক রয়েছে। আগে যেসব অনিয়ম-দুর্নীতি ছিল এখন সবকিছু বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আমার বাঙলা/এনবি