গজারিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ী কাইয়ুম প্রধানের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে নগদ টাকা, ফ্রিজ, অন্যান্য মালামাল পুড়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ী কাইয়ুম প্রধান তেতৈতলা গ্রামের আমিরুল ইসলাম প্রধানের বড় ছেলে।
রোববার রাত আনুমানিক ২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের তেতৈতলা গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কাইয়ুম প্রধান ঢাকায় বসবাসের কারণে ঘরটিতে কেউ থাকতো না, সেজন্য এই ঘরে ছিল না বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সংযোগের লাইন। তবে টিনের চৌচালা এই ঘরটিতে টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র ছিল যা পুড়ে ছাই।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তবে আগুনের তীব্রতার কারণে চোখের সামনেই বসত ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয় ডালিম প্রধান বলেন, মধ্যরাতে আগুনের শব্দ ও আশেপাশের লোকজনের আত্মচিৎকারে আমার ঘুম ভাঙ্গে। ঘুম থেকে উঠে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি ব্যবসায়ী কায়ুম প্রধানের বসত ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, মধ্যরাতে বসতঘরটিতে আগুন দেখতে পেয়ে আমরা চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও কোনো মালামাল উদ্ধার করতে পারিনি।
পরে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রতিবেশী হাসিনা বেগম বলেন, আমার ঘরের জানালা খুলে দেখি আগুনে পুড়ে যাওয়া কাঠ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে। আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। আগুনের তাপে আমার ঘরের কাঠের বেড়া ও জানালা পুড়ে গেছে। আমার ঘরের ভিতরে থাকা পানি জানালা দিয়ে ছিটিয়ে ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি নাহলে আমার ঘরও পুড়ে ছাই হয়ে যেত।
ক্ষতিগ্রস্ত কাইয়ুম প্রধানের স্ত্রী বলেন, সন্তানদের পড়ালেখার সুবাদে আমরা ঢাকায় থাকি। শশুর-শাশুড়ি গ্রামে থাকে। আমরা প্রতি সপ্তাহে আসি কিন্তু গতকাল রাতে আমাদের এই বসত ঘরে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে আমাদের বসতঘর পুড়ে একেবারে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। টিনের চৌচালা এই ঘরটিতে থাকা টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র ছিল যা পুড়ে আনুমানিক আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি পরিবারটির।
জানা গেছে, মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস।
আমার বাঙলা/এনবি