ছবি: সংগৃহীত
সারাদেশ

৭৫ বছরে পা দিলো মোংলা সমুদ্র বন্দর

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা ৭৫ বছরে পা দিয়েছে। ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর খুলনার চালনায় বন্দরটি স্থাপন করা হয়। সত্তর বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দরটি দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ রেখে চলেছে। প্রতিষ্ঠার মাত্র তিন বছর পর বন্দরটি ১৯৫৩ সালে স্থানান্তরিত হয় বাগেরহাটের মোংলায়। ব্রিটিশ বাণিজ্যিক জাহাজ ‘দ্য সিটি অব লিয়ন্স’ সুন্দরবনের পশুর নদীর জয়মনির ঘোল এলাকায় নোঙর করে বন্দরের কার্যক্রম শুরু করে।

১৯৭৭ সালে ‘চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ’ নামে বন্দরটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয়। ১৯৮৭ সালে এর নামকরণ করা হয় ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ’। প্রতিষ্ঠার পর নৌপথের নাব্যতা সংকট বন্দরটির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। ১৯৮০ সালের পর থেকে দীর্ঘমেয়াদি ড্রেজিং কার্যক্রম চালিয়ে বন্দরটির কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করা হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নানান আয়োজন করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। রাত ১২টা ১ মিনিটে বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি সব জাহাজে এক মিনিট বিরতিহীন হুইসেল বাজিয়ে দিনটি উদযাপন শুরু করে। এ ছাড়া রোববার (০১ ডিসেম্বর) সকালে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, এবং সেরা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ টগী শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক, বসুন্ধরা মাল্টি ট্রেডিংসহ ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মোংলা বন্দর অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নেওয়া হয়েছে একাধিক মেগা প্রকল্প। পশুর চ্যানেলের ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হলে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে।

বর্তমানে বন্দরের জেটি, মুরিং বয়া, এবং অ্যাঙ্কোরেজে একসঙ্গে ৪৭টি জাহাজ নোঙরের সুযোগ রয়েছে। বন্দর চ্যানেলে নেভিগেশন সুবিধার জন্য ৬৯টি বয়া স্থাপন করা হয়েছে। কনটেইনার হ্যান্ডলিং, রেফার প্লাগ পয়েন্ট, কার পার্কিং, এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন বন্দরের সক্ষমতাকে বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন ২ দশমিক ৩০ শতাংশ, কার্গো পরিবহন ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং কনটেইনার পরিবহন ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া গাড়ি আমদানিতে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই বন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টন কার্গো এবং ৪ লাখ টিইইউ (কনটেইনার) হ্যান্ডলিং করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মোংলা বন্দর বর্তমানে শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং আঞ্চলিক বাণিজ্যের একটি কেন্দ্রীয় হাব হয়ে উঠছে। পদ্মা সেতুর সংযোগ এবং উন্নত অবকাঠামো এই বন্দরের বাণিজ্যিক গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। বন্দরের বর্তমান অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক নতুন সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত করছে।

বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, মোংলা বন্দরের কার্যক্রম অনেক বেড়েছে। এই বন্দরকে আধুনিক ও স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য আমরা নানা পরিকল্পনা করছি। আশাকরি মোংলা বন্দর এই অঞ্চলের আমদানি-রপ্তানি এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।

.

আমার বাঙলা/এসএইচ

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শেখ পরিবারের নাম ভাঙিয়ে জমি দখল ও সন্ত্রাসের অভিযোগ

খুলনা জেলার আলোচিত ভূমিদস্যু সালাম খান তার প্রভাব...

নিন্দা জানিয়ে  মুক্তিজোটের বিবৃতি

বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে মুক্তিজোট। ৩ ডিসেম্ব...

পেশাজীবী অধিকার পরিষদের ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক কমিটি 

গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মো. মামুন সিকদারকে আহ্বায়ক এবং...

কিভাবে শেখ হাসিনা স্বৈরশাসক হলেন

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মাস্টার মাইন্ড মাহফুজ আলম এক সেমিনারে বল...

নবম-দশম শ্রেণির বইয়ের ৭ গদ্য, ৪ কবিতা বাদ যাচ্ছে

আগামী বছরের নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্যবিষয়ক পাঠ...

দেশের প্রশ্নে সব দল ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে: আসিফ নজরুল

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব,...

বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার কর...

বাংলাদেশকে দুর্বল ভাবার কোনো অবকাশ নেই

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশ ব...

রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তিন বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছেন প্রধা...

ভারতের পতাকা মাড়ানোর ‘ভাইরাল’ ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি: রিউমার স্ক্যানার

ফ্যাক্ট চেক বা তথ্য যাচাই সংস্থা রিউমার স্ক্যানার সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল (ছড়ি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা