ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সুদের টাকা না পেয়ে এক দিনমজুরের বসতভিটা দখল করার অভিযোগ উঠেছে। টাকা দিতে না পারায় তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া এবং বসতভিটা রেজিষ্ট্রি করতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কালীগঞ্জ উপজেলার ফয়লা গ্রামের লতিফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০২২ সালে কালীগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল ওহাবের কাছ থেকে তিনি বিশেষ প্রয়োজনে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ধার নেন। আরও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিলো। সেখানে শর্ত ছিল ৩ বছর ৩ মাসের মধ্যে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে। টাকা পরিশোধ করতে না পারলে বাজারদরে তার বসতভিটা আব্দুল ওহাবের কাছে বিক্রি করে দিতে হবে।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই সুদসহ টাকা ফেরত দিতে চাপ শুরু করে ওহাব। টাকা না পেয়ে সর্বশেষ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় ওহাব। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বর্তমানে ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে লতিফুলকে। এ নিয়ে আদালতে মামলা থাকার পরও আব্দুল ওহাব বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে ভুক্তভোগীকে।
লতিফুল বলেন, এর আগে আমার স্ত্রী জবা বানুকে মারধর করেছে আব্দুল ওহাবের লোকজন। আমার বাড়িতেও হামলা করে লুটপাট করেছে। প্রাণভয়ে আমি এখন পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল ওহাবের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লতিফুল একজন প্রতারক। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকা দিচ্ছে না। টাকা দিতে না পারায় আমাকে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছে। এখন সে সংবাদ সম্মেলন করে নানাভাবে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে।
আমার বাঙলা/এনবি