এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা করেছেন এক যুবলীগ কর্মী। মামলায় তিনি আসামি করেছেন শেখ হাসিনাসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে। এছাড়া আসামির তালিকায় আরও রয়েছেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীও।
মামলাটি করেছেন কফিল উদ্দিন। তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ–অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন মিছিল–সমাবেশে তার সঙ্গে যোগও দিয়েছেন।
তবে পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগের এক মামলায় কফিল নিজেও আসামি। ১০ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় ২৭৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন মো. রাইয়ান নামের এক যুবক। গত সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার শিকার হয়েছেন দাবি করে মামলা করেন কফিল উদ্দিন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। যুবলীগের কর্মী হয়ে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তার মামলার বিষয়টি এখন সবার মুখে মুখে।
কফিল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের অত্যাচারের প্রতিবাদ করেছেন। ছাত্র–জনতা দেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি নিজে আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। কোনো সুবিধার জন্য মামলা করেননি।
মামলার অভিযোগে বাদী আরও উল্লেখ করেন, তিনি গত ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। ওই দিন আসামিদের কয়েকজনের নির্দেশে ও পরিকল্পনায় বাকি আসামিরা গুলি করেন। ককটেল বিস্ফোরণও ঘটান। এতে কফিল হাতে আঘাত পান। ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হন। ঘটনায় জড়িত আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ ও সুস্থ হতে সময় লাগায় মামলা করতে দেরি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কফিল নগরের নন্দনকানন এলাকায় একটি থাই অ্যালুমিনিয়ামের দোকানে চাকরি করেন। নগরের কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র, মাদকসহ তিনটি মামলা এবং আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। গ্রেপ্তার হয়ে একাধিকবার কারাগারেও গেছেন। চট্টগ্রাম নগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় নেতৃত্বদানকারী যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।
.
আমার বাঙলা/এসএইচ