বাংলাদেশের মেয়ে মল্লিকার প্রেমের টানে সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে সিরাজগঞ্জে ছুটে এসেছেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক। এ খবরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মল্লিকার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশে আসেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা ফাইক। এরপর মুস্তফা ও মল্লিকার পরিবারের সম্মতিতে সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের কাকিলামারি গ্রামের দলিল লেখক কামরুজ্জামান মানিকের মেয়ে মল্লিকা। তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্ট্রাগ্রামে নিজের আইডিতে ছবি পোস্ট করেন মল্লিকা। সেই ছবি দেখে পছন্দ করেন তুরস্কের যুবক মুস্তফা। এরপর থেকে শুরু হয় কথা। কথার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় ভাবের আদান প্রদান। তারপর তা রূপ নেয় প্রেমে। দীর্ঘদিনের প্রেমের পরিণতি দিতে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসেন মোস্তফা।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে মল্লিকার বাড়িতে ভিড় করেন এলাকার শত শত মানুষ। প্রত্যেকেই এই ঘটনায় আনন্দ প্রকাশ করেন। তারা জানান, এরকম ঘটনা তারা কোনোদিন দেখেনি। স্থানীয় একজন বলেন, তুরস্কের যুবক আমাদের এলাকার মেয়ের ভালোবাসার টানে চলে এসেছেন, এতে আমরা অনেক আনন্দিত।
এসময় প্রত্যেকেই নবদম্পতির জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানান।
মুস্তফা ফাইক সাংবাদিকদের বলেন, প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসেছি। পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে করেছি মল্লিকাকে। তাকে বিয়ে করতে পেরে আনন্দিত ও উৎফুল্ল। বাংলাদেশের মানুষ ও প্রকৃতি অনেক ভালো লেগেছে।
সম্পর্ক বিয়েতে পরিণতি পাওয়ায় খুশিতে আত্মহারা মল্লিকাও। তিনি জানান, ভিসা প্রসেসিং শেষ হলেই পাড়ি জমাবেন তুরস্কে।
মল্লিকা বলেন, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থানরত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তিন বছর আগে ইনস্টাগ্রামে আমাদের পরিচয় হয়। তখন থেকেই দুজনের মন দেওয়া-নেওয়ার শুরু। দুই পরিবারের সম্মতিতে এর আগে আমি তুরস্কে যাওয়ার জন্য ভিসার আবেদন করলে সেটি নাকচ হয়। এরপর কোনো উপায় না পেয়ে মোস্তফা বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
মল্লিকার মা ও স্বজনেরা এমন বিয়ে মেনে নিয়ে তারাও আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, দুই পরিবার আগে থেকেই এই বিয়েতে রাজি ছিল।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম আলী বলেন, বিষয়টি শুনেছি, তবে সেখানে যাওয়া হয়নি। তিনি বৈধভাবে এসেছেন এবং শুনেছি দুজনের পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ