অপসারণকৃত পৌর কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবিতে আজ মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) মানববন্ধন করেছে ঝিনাইদহের ছয়টি পৌরসভার কাউন্সিলররা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহ পোস্টঅফিস মোড়ে বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশন এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধন শেষে একই স্থানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম মধুর সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বক্তব্য দেন জেলা কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আরেফিন কায়সার, শৈলকুপা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবদুর রকিব, মুসা খান, ঝিনাইদহ পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ফারহানা রেজা আনজু, একই পৌরসভার বুলবুলি বেগম, কোটচাঁদপুর পৌরসভার আব্দুর রাকিব, মহেশপুর পৌরসভার রহুল আমিন মিন্টু, কালীগঞ্জ পৌরসভার মুক্তার হোসেন, হরিণাকুন্ডু পৌরসভার নাসির উদ্দীন।
সভায় বক্তারা বলেন, পৌরসভার কাউন্সিলরদের অপসারণের পর জেলার সব পৌরসভার কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। নাগরিকরা ঠিকমতো সেবা পাচ্ছে না। জন্ম-মৃত্যু ও নাগরিক সনদ পেতে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। শহরগুলো ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যার পর পাড়া-মহল্লায় সড়ক বাতি জ্বলছে না। নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধে নাগরিকরা বসবাসি করতে পারছে না। কাউন্সিলররা প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘দেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার বিপ্লবে যে স্বাধীনতা জাতি পেয়েছে তা কি এই ভোগান্তি আর জনদুর্ভোগের জন্য? আমরাও ছাত্র জনতার সঙ্গে ছিলাম। আমাদের সন্তানরা মাঠে ছিল, আন্দোলনে ছিল। পৌর নাগরিকদের এ অবস্থা চলতে পারে না’।
বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম মধু কাউন্সিলরদের পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘যারা অন্যায় ও অপকর্ম করেছে, তাদের জন্য সব কাউন্সিলরকে শাস্তি দেওয়া বৈষম্যমূলক। যেসব কাউন্সিলর সরাসরি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাদের শাস্তি দিলে কেউ প্রতিবাদ করবে না’। একই সঙ্গে ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান ছিল, কাউন্সিলররা তাদেরও শাস্তির দাবি জানান।
সাইফুল ইসলাম মধু আরও বলেন, আমরা কোনো দলের রাজনীতি করে কাউন্সিলর হইনি, আমরা সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আমাদের কেন অপসারণ করা হবে? অবিলম্বে দায়িত্বে ফিরে আবার দেশ গঠন ও মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখতে চাই।
উল্লেখ্য গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৪ সেপ্টেম্বর দেশের সব পৌরসভার মেয়র এবং পরে কাউন্সিলরদের অপসারণ করে। ফলে পৌরসভাগুলোতে নাগরিক ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।