দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
সহিংসতার জেরে ৮ অক্টোবর খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় প্রশাসন। এতে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় খাগড়াছড়ি ও সাজেকে পর্যটকদের প্রবেশ।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে প্রশাসন।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাজেক পর্যটকশূন্য থাকায় রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী সাজেক ছেড়ে চলে গেছেন। এখন আবার নতুন উদ্যমে ফিরতে শুরু করেছেন তারা।
খাগড়াছড়ির স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাগর বলেন, দীর্ঘদিন পর্যটন ব্যবসা বন্ধ থাকায় পুরো খাগড়াছড়িতে ৫০ কোটি টাকার উপরে লোকসান হয়েছে এবং খাগড়াছড়ির ইমেজের ক্ষতি বেশি হয়েছে।
পর্যটনকেন্দ্র উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা। তিনি বলেন, এখানকার পর্যটন খাতের সঙ্গে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় এখাতে অনেকে বেকার হয়ে পড়েছেন। পর্যটন চালু হওয়ায় খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার থেকে খাগড়াছড়ি জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সাজেকে যেহেতু খাগড়াছড়ি জেলা সড়ক হয়ে যেতে হয় সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে সাজেকেও পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ খাগড়াছড়ির উপ পরিদর্শক নিশাত রায় বলেন, আগের মতোই পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে টুরিস্ট পুলিশ। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষণিক টহল দেওয়া হচ্ছে । দুর্গম এলাকার পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে কোনো সমস্যায় পড়লে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার জন্য বলা হচ্ছে।
আমারবাঙলা/এমআরইউ