ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক কমিটির (নাসির-হিলু-ফোটন প্যানল) বিরুদ্ধে ৭০ লাখ ১২ হাজার টাকার আত্মসাত এর অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় নিজেদের আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনা আড়াল করতে সাবেক কমিটির নেতারা বর্তমান কমিটির নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের জন্য মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে মনগড়া উক্তিমুলে রিট মামলা দায়ের করেছেন । যাহা সম্পুর্ণ বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ আইন পরিপন্থী। এছাড়া বিগত কমিটি পরাজিত নেতারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন চেম্বারের বর্তমান কমিটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় সাবেক কমিটির অর্থ আত্মসাত এর ঘটনায় অডিট চলছে ।
শনিবার (২ নভম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়াজোন করে ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিচালক মো. আব্দুল মতিন মুক্ত। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা দোকান মালিক সমিতির আহবায়ক আনায়ারুল ইসলাম বাদশা, ঝিনাইদহ চেম্বার অব কমার্সের কনিষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. বকুল বাশার, চেম্বারের পরিচালক মো. সামছুল ইসলাম, মোস্তাকিম মনির, আলমগীর হোসেন আলম, এম এ সামাদ, এএসএম এনায়েত উল্লাহ (নয়ন), মো. মানিক মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন- ‘আইনানুযায়ী চলতি বছরের ফব্রুয়ারিতে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ অনুযায়ী নির্বাচন থেকে শুরু করে সংগঠনের সকল কার্যক্রম আমরা পরিচালনা করেছি। তিনি বলেন চেম্বারের বিগত কমিটির পরাজিত প্যানেল হয়রানি করার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা এ সকল অপ কর্মকান্ডের তীব্র নিদা ও প্রতিবাদ জানাই।’
চেম্বারের বিগত কমিটির দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের বিষয় তুলে ধরে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন আরও বলেন, ‘নাসির-হিলু-ফোটন প্যানেল দীর্ঘদিন চেম্বারের দায়িত্ব পালন করেছে। তিনি জানান ২০১৫ ও ২০১৬ সালে বাণিজ্য মেলার রয়্যালটি বাবদ গৃহিত সর্বমাট ১ কোটি ৫ লাখ টাকার পৃথক দুটি চুক্তি হয় ( ২০১৫ সালে ৫০ লাখ ও ২০১৬ সালে ৫৫ লাখ) । কিন্তু সেখানে আয়ের হিসাব দেখানো হয়েছে মাত্র ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ( ২০১৫ সালে ০৭ লাখ ও ২০১৬ সালে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা) । বাকি ৭০ লাখ ১২ হাজার টাকার কোন হিসাব নেই।’
চেম্বারের সভাপতি বলেন,পুর্বের কমিটি লাখ লাখ টাকার কোন হিসাব দেয়নি। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন প্রতি মাসে মাসিক মিটিং করা বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা সে নিয়ম মানেননি। কারণ, মাসিক মিটিংয়-এ প্রতিমাসের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হয়। পেশী শক্তির জোরে দীর্ঘদিন নির্বাচন না দিয়ে তারা লুটপাট চালিয়েছে। এখন তারা নির্বাচিত কমিটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে ।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের শিক্ষা আমাদের সবাইকে গ্রহণ করতে হবে। নেতৃত্ব আসবে,আবার নেতৃত্ব চলে যাবে। কোন কিছু আঁকড়ে ধরার মাঝে আমরা নেই। তিনি দৃড় কন্ঠে বলেন দুই বছর পর নিয়মানুযায়ী চেম্বারর নির্বাচন হবে। ব্যবসায়ীরা ভোট না দিলে আমরা পরাজয় মেনে নেবো। আমরা ব্যবসায়ীদের জন কাজ করতে চায়। নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য চেম্বারের নেতৃত্বে আসিনি।’ এ বিষয়ে চেম্বারের সাবেক সভাপতি মীর নাসির উদ্দিনের মোবাইলে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য বার বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
আমার বাঙলা/ এসএ