সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম মহেশপাড়া। এই গ্রামের মানুষের চলাচল নিবিঘ্ন করতে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। কিন্ত ব্রিজের দুই পাশে সংযোগ সড়ক না করায় রাস্তা ধসে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মহেশপাড়া গ্রামসহ চলাচলকারী আশেপাশের এলাকার মানুষদের। এই অবস্থায় ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে সংযোগ সড়ক নির্মাণে এলজিইডির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০২০ সালে ভয়াবহ বন্যায়সোনাতলা উপজেলার মহেশপাড়ার ওই ব্রিজটি ধসে যায়। পরে এলজিইডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন স্থানে আরসিসি ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার আহ্বান করে। ব্রিজটি নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই বছর সময় লাগে। এরপরও দুই পাশে সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা হয়নি। আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ কোনোরকমে ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে যাতায়াত করছেন। কিন্তু ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। অনেক কষ্টে ও ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, কার ও মাইক্রোবাস চলাচল করছে।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে মহেশপাড়া গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্ডল, মহেশপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান, প্রভাষক সালজার রহমান, জাকিরুল ইসলাম, প্রভাষক নূর আলম লিখন, আশরাফ উদ্দিন আকন্দ, মোকারম হোসেন মাস্টার, তরুণ সমাজসেবক রোমানুর রহমান রোমান, নয়ন মিয়া, আব্দুল মমিন, আব্দুল আজিজ সেলিমসহ আরও অনেকেই বলেন, ব্রিজের আশপাশে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
তারা আরও জানান বিশেষ করে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ওই ব্রিজ দিয়ে আশপাশের ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার হাট-বাজারে নিতে পারেন না। ফলে তারা ফসলের কাক্সিক্ষত মূল্য পাচ্ছেন না। ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের সংযোগ সড়ক ও পূর্ব পাশের পাকা সড়কটি দ্রুত সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক বলেন, মহেশপাড়ায় ব্রিজের নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবির মুখে ব্রিজটি যাতায়াতের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণে দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি আশা করেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে কাজটি শুরু হবে।
আমার বাংলা/এমআর