সুমন পারভেজ: নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে ও ওসি প্রত্যাহারের দাবীতে শৈলকুপা থানা ঘেরাও করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে জনতা। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।পুলিশের গুলিতে আহত হয় অন্তত ৩০ জন। এসময় জনগনের ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহতদের ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
জানা যায়, মামারির ঘটনায় শৈলকুপার ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক শিকদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে ছাড়িয়ে নিতে শত শত মানুষ থানায় এসে ভিড় জমায়।
নিরিহ মানুষকে ধরে হয়রানি করা ও টাকার বিনিময়ে অপরাধীদের ছেড়ে দেয়া এবং নানা দূর্নীতির অভিযোগ এনে ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রত্যাহারের দাবীতে একটি মিছিল বের করে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা।
ওসি প্রত্যাহারের শ্লোগান দিয়ে মিছিলটি থানা ঘেরাও করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
পুলিশের গুলিতে ধাওড়া গ্রামের ফিরোজ শিকদার, আলী আকবর, আজগর মন্ডল, তুহিন জোয়ারদার, নাফিজ, সালামত, সুইম, জান্নাত, আসাদুজ্জামান, সাইফুদ্দিন, সাত্তার শিকদার, ইমন শিকদার, আব্দুল ওহাব, ফারুক, জালালসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়। এছাড়াও ইট পাটকেলের আঘাতে শৈলকুপা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত রিয়াজুল হাসানসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে়ছেন। গুরুত্বর আহতদের ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ধাওড়া গ্রামের লোকজন থানা ঘেরাও করে আসামী মোস্তাক শিকদারকে ছিনতাই এর চেষ্টা করে। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে থানায় ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে ইন্সপেক্টর তদন্ত রিয়াজুলসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে বেশ কিছু লোকজন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী মামলা হবে বলে জানান তিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এবি/এইচএন