জেলা প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামের ডজন খানেক অভিযোগে গত ৪ মাস আগে বদলি করা হয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৪ কার্যদিবস পর বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়। অবশেষে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বদলির সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার (২০মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে নবাগত নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম দায়িত্ব বুঝে নিতে এসেছেন। এদিকে বদলি হওয়া নির্বাহী সফিকুল ইসলামের বিষয়ে অফিস সূত্রে জানা যায়, বদলির ১০ ঘন্টা পার হলেও আবারও উপর মহলকে ম্যানেজ করে দ্বিতীয় বার তার বদলির স্থগিতাদেশ করাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কোনো প্রকার ছুটি না নিয়ে সরকারি গাড়ি এবং অফিসের ড্রাইভারকে সাথে নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন বলেও জানা যায়।
নাম বলতে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, গাড়ি চালক নাজমুল ইসলামকে সাথে নিয়ে ভোর ৬/৭টার দিকে এলজিইডি' প্রধান কার্যালয়, আগারগাঁও অফিসে বদলী ঠেকাতে তদবির করতে চলে গেছেন।
ছুটি বিষয়ে অফিস সহকারী প্রদীপ কুমার জানান, অফিস থেকে ড্রাইভার ও নির্বাহী প্রকৌশলী ছুটির কোনো কাগজপত্র রেজিস্ট্রার বা কোন লেটার নেই তবে চীফ স্যারের কাছে ছুটি নিয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই।
যান্ত্রিক শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, সরকারী গাড়ি জেলার বাহিরে ব্যবহারের কোনো অনুমতি নেই। ড্রাইভার আমাকে না জানিয়েই নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে গাড়ি চালক নাজমুল ইসলাম জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম স্যার আমাকে নিয়ে ভোর ৬ টায় ঢাকা আগারগাঁও অফিসে এসেছে। সেখানে যাওয়ার বিষয়ে মুভমেন্ট রেজিস্ট্রার অনুসরণ ও ছুটি নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছুটি নেওয়া হয়নি। তিনি আরও জানান আমি হুকুমের গোলাম।
সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আহরাম আলী জানান, স্যার আমাদের কিছুই না জানিয়ে কোথায় চলে গেছেন তা জানি না। তিনি অফিসের বস, আমি তো তাকে প্রশ্ন করতে পারি না।
এ বিষয়ে নবাগত নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, আমি গতকাল ফোন দিয়েছিলাম। আজ সকালে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার জন্য। এসে দেখি তিনি নেই।
সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন জানান, সফিকুল ইসলাম একজন দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার। জানতে পেরেছি তার বদলি ঠেকাতে আবারও এলজিইডি আগারগাঁও অফিসে গিয়েছে। তার অত্যাচারে সিরাজগঞ্জের উন্নয়ন ও ঠিকাদারা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এবিষয়ে সফিকুল ইসলামকে ফোন দেওয়া হলে, তিনি অফিসের বাহিরে আছেন বলেন জানান।
ছুটি না নিয়ে অফিস ত্যাগ করার বিষয়ে রাজশাহী অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকার আলী বলেন, সফিকুল ইসলাম আমার কাছ থেকে আজ কোন প্রকার ছুটি নেয়নি। তবে দুর্নীতির অভিযোগে গত ৪ মাস আগেই বদলি হয়েছেন বদলি করা হয়েছে।
এবি/এইচএন