সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ শহরের কাজিপুর রাস্তার মোড় থেকে চন্ডীদাসগার্তী ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার চার লেনের কাজ চলমান রয়েছে। এর দু’পাশে এখনও মাটির কাজ এবং গাছ লাগানোর কাজসহ কিছু কিছু জায়গায় ড্রেন নিমার্ণের কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। অথচ এ রাস্তার দু’পাশে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে ও উঠছে ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মালশাপাড়া কাটাওয়াবদা মোড় থেকে চন্ডীদাসগার্তী ব্রীজ পর্যন্ত কাজটি চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের অনেক কাজ এখনও বাকি রয়েছে। যেমন মালশাপাড়া কাটাওয়াবদা মোড় থেকে শহরের অভ্যন্তরের কাজিপুর রাস্তার মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার চারলেনের কাজ শুরু হয়েছে। এ অংশে শুধু একটি লেন নির্মাণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া কাজিপুর রাস্তার মোড় থেকে চন্ডীদাসগার্তী ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার চারলেনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এর দু’পাশে এখনও মাটির কাজ এবং গাছ লাগানোর কাজ কিছু জায়গায় ড্রেন নিমার্ণের কাজ চলমান রয়েছে। অথচ এ রাস্তার দু’পাশে সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে গড়ে ও উঠছে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ।
সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, কাজটি চারলেনের প্রস্থ হবে ১৮ মিটার। চারলেন সড়কের দুই পাশের রাস্তার প্রস্থ ৭.৩ মিটার। মাঝখানে আইল্যান্ড থাকবে এক মিটার এবং দুই পাশে ফুটপাথ কাম ড্রেন হবে ১.২ মিটার। এর পাশে মাটির সোল্ডার নিমার্ণ করে বৃক্ষ রোপন করা হবে। তবে অফিস থেকে বিভিন্ন সময় সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনার মালিকদের, স্থাপনা সরানোর জন্য ২০২২ সালের ২৫ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি সড়ক বিভাগের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা সরানোর নোটিশ প্রদান এবং লাল দাগ দেয়া হয় ভাঙ্গার জন্য। আজ পর্যন্ত তা কার্যকর না হওয়ায় বেড়েই চলেছে অবৈধ স্থাপনা।
পথচারী আব্দুল ওহাব জানান, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তিরাই সরকারী জায়গা দখল করে স্থায়ী ইমারত নিমার্ণ করছে। যা কেউ দেখেও দেখে না।
মুরগীর প্রজনন খামারের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান জানান, রাস্তার পাশে সড়ক বিভাগ থেকে এসে মেপে গেলেও আজও সরকারী জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক জানান, আশেপাশের এলাকা বস্তির মতো হয়ে গেছে। অতিদ্রুত ব্যবস্থা না হলে হাসপাতালের পরিবেশ খারাপ আকার ধারন করবে।
সিরাজগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: জাহিদুর রহমান মিলু জানান, সড়ক ও জনপথের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলা হবে।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আবুল কালাম আজাদ জানান,"এই প্রকল্পের কাজ চলমান আছে, সড়ক বিভাগের জায়গায় গড়ে ওঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
এবি/এইচএন