বগুড়া শহরের শিববাটি এলাকায় পৌরসভার আরসিসি ঢালাই রাস্তা কেটে এবং ভেঙে বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। রাস্তার ওপর ইটের দেয়াল তোলার কারণে কোন যানবাহন প্রবেশ করতে পারছে না। এ অবস্থায় ১০ পরিবারের লোকজন প্রতিবন্ধকতার মুখে আছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) শিববাটি শাহী মসজিদ লেনে আরসিসি ঢালাই রাস্তার ওপর নির্মাণাধীন প্রাচীর দেখা যায়। স্থানীয়দের বাঁধা তোয়াক্কা করছেন না প্রভাবশালী দুই ভাই হেলাল শেখ ও শহিদুল শেখ। তারা ওই এলাকার মৃত হুকুম আলী শেখের ছেলে। দুই ভাই গত ১৭ এপ্রিল থেকে রাস্তার আধাফুট এবং অন্যপাশে একফুট জায়গা দখল চেষ্টা করছেন। সীমানা প্রাচীর নির্মাণে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে ১০টি পরিবারের পক্ষে গত ২৩ এপ্রিল বগুড়া পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ফরিদ জানান, রাস্তাটি অনেক পুরাতন। দুই পক্ষের জায়গা নিয়ে ৪ ফুট প্রস্থের রাস্তা আরসিসি ঢালাই করে দেয়া হয়েছিল। সম্প্রতি একটি পক্ষ উত্তরপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণকাজ করছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শিববাটি এলাকার হেলাল শেখ ও শহিদুল শেখে বাড়ি ঘেঁষে পৌরসভার ৪ ফিট প্রস্থ এবং ৭০ ফিট দৈর্ঘ্যের আরসিসি ঢালাই রাস্তা রয়েছে। প্রায় ১৫ বছর আগে হওয়া রাস্তা দিয়ে ১০ পরিবারের লোকজন যাতায়াত করেন। মোটরসাইকেল, রিকশাসহ ছোট যানবাহন চলাচল করে। দুই ভাই হেলাল শেখ ও শহিদুল শেখ রাস্তার ওপর তাদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। বাসা-বাড়ির মালামালও বহন করা যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন রিপন, জাহাঙ্গীর, রঞ্জু মিয়া, জাহিদ হাসান, জাহানারা বেগম, সুমন হোসেনসহ কয়েকজন জানান, ১৫/১৬ বছর আগে পৌরসভা থেকে রাস্তাটি আরসিসি ঢালাই করে দেয়া হয়। তারা সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। প্রাচীর নির্মাণ করায় রিকশা-ভ্যানও প্রবেশ করতে পারছে না। কেউ মারা গেলে এই রাস্তা দিয়ে খাটিয়া বের করাটা কঠিন হয়ে যাবে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার সময় দুই ভাইকে নিষেধ করা হলেও তারা তোয়াক্কা করেননি।
রাস্তা দখলে অভিযুক্ত হেলাল শেখ দাবি করেন, জবরদখল করা হয়নি, জায়গাটি তাদের পৈতৃক। রাস্তার জন্য আড়াই ফুট জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন। যারা অভিযোগ দিয়েছে, তারা নিজেরাই জায়গা ছাড়েননি।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহজাহান আলম জানান, রাস্তার ওপর ইটের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পৌর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।আমারবাঙলা/ইউকে