বগুড়ার নন্দীগ্রামে পারিবারিক বিবাদ নিরসনের সময় দুই পক্ষের মারপিটে সাংবাদিক রাসেল মাহমুদসহ পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত চার আসামি গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে আছেন। তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
গতকাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম সার্কেল) মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কামুল্যা চাকরান আধখোলা এলাকায় মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে দুই নারীসহ আহত হন সাতজন।
রবিবার কামুল্যা সরকারপাড়ার মৃত আফসার আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন টুটুল বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন- চাকরান আধখোলা এলাকার নুর মোহাম্মদ, হযরত আলী, রমজান এবং কাওসার আলী।
মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বাড়ির ছাদ থেকে আরেক বাড়ির ছাদে বৃষ্টির পানি পরার জেরে নিকটাত্মীয় দুই পরিবারের বিবাদ সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি বাকবিতন্ডা ও মারমুখী আচরণের ঘটনা দুই পক্ষ নিরসনে বসে। এনিয়ে ফের বৈঠকে বসার আগে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এসময় এক নারীকে টানা হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায় প্রতিপক্ষরা।
বিবাদ নিরসনে উপস্থিত হয়ে হামলার শিকার হন দুই পরিবারের নিকটাত্মীয় সাংবাদিক রাসেলের বাবা মোত্তালেব হোসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ামাত্রই সাংবাদিক রাসেল মাহমুদের ওপর হামলা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদে কর্মরত, নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহ্বায়ক ও নন্দীগ্রাম অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি। মারপিটে আহত দুই পক্ষের সাতজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক বেদার উদ্দিন জানান, মামলা দায়েরের পরই আসামিরা আত্মগোপনে রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আমারবাঙলা/ইউকে