দিনাজপুর বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের তেঘরা মহেশপুর মৌজার সরকারপাড়ায় একটি পার্শ্ব রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া দ্বন্দ্ব এখন এলাকার প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। প্রায় ৪০টি পরিবার এবং ২০০ জনের অধিক কৃষক এ রাস্তা ব্যবহার করেন। তবে রাস্তার প্রস্থ নিয়ে বিরোধে আটকে আছে রাস্তাটি।
প্রায় দশ বছর আগে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আট ফুট প্রস্থের একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ১৫০ ফুট পাকা রাস্তা নির্মাণ হয়। কিন্তু ২০২৫ সালের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হলে রাস্তার প্রস্থ নিয়ে মনছুর আলী গংয়ের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। রাস্তার সম্মুখভাগ আট ফুট প্রশস্ত হলেও পিছনের অংশে মনছুর আলী গং পাঁচ ফুট জায়গা ছেড়ে দেয়াল নির্মাণ শুরু করেন। এলাকাবাসীর দাবি, আট ফুট প্রশস্ত রাস্তা রাখতে হবে, যাতে অ্যাম্বুলেন্স ও কৃষি যন্ত্রপাতি চলাচল করতে পারে। অন্যদিকে, মনছুর আলী গংয়ের দাবি, পাঁচ ফুট জায়গাই যথেষ্ট এবং অতিরিক্ত জায়গা ছাড়ার প্রয়োজন নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ্ব মোঃ লুৎফর রহমান জানান, তাঁর পিতা আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ রাস্তাটির জন্য সোয়া দুই শতক জমি ক্রয় করেছিলেন। কিন্তু মনছুর আলী গং তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির ওপর রাস্তা নির্মাণে বাধা দিচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান, রাস্তাটি এককভাবে কোনো পরিবারের জন্য নয়, বরং পুরো এলাকাবাসীর সুবিধার জন্য। আলীর ভাইপো জাহিদ হোসেন বলেন, আমাদের জায়গায় রাস্তার জন্য অতিরিক্ত জায়গা দেয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা পাঁচ ফুট জায়গা দিয়েছি, যা ভ্যান ও রিকশার চলাচলের জন্য যথেষ্ট। সরকারি অর্থে রাস্তা নির্মাণের প্রয়োজন নেই।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুসেন আলী বলেন, দ্বন্দ্বের কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। উভয়পক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা চলছে। বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশতিয়াক আহমেদ (ভারপ্রাপ্ত) এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত সমাধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা চান, দ্বন্দ্ব মিটিয়ে আট ফুট প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ করা হোক, যাতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দূর হয়।
আমারবাঙলা/ইউকে