বগুড়ার শেরপুরে পরকীয়ার জেরে কাবিল হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। তিনি উপজেলার কুসম্বি ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে। একটি বাড়িতে হত্যার পর মরদেহ হাসপাতালে রেখে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার। ঘটনার পর থেকেই বাড়ি তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছে অভিযুক্তরা।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কাবিল হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে তার মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সুমাইয়া নামের নারীর সঙ্গে কাবিলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে ভুল স্বীকার করে সাময়িক সমাধান হয়। সোমবার মেলা থেকে বাজার করে মোটরসাইকেল নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকার বাড়িতে যায় কাবিল। রাত ৩টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় ফুফাতো ভাই সজিব।
নিহত কাবিলের স্ত্রী শাপলা খাতুন জানায়, প্রায় সাতমাস পূর্বে তার স্বামীর মোবাইল থেকে সজিবের ভাবির মোবাইলে ভুলক্রমে একটি ‘নাইস’ লেখা এসএমএস যায়। এ নিয়ে তার স্বামী ভুল স্বীকার করেছিল। ঘটনার দিন সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে মেলায় যাওয়ার কথা বলে বের হয় কাবিল। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে কাবিলের স্ত্রী অভিযোগ করেন।
শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ জানান, পরকীয়ার জেরে হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বাড়ি তালাবদ্ধ করে সুমাইয়া, সজিবসহ অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আমারবাঙলা/ইউকে