ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যা ও ভারতের নাগপুরে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, নীলফামারী জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভ মিছিলটি নীলফামারীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরঙ্গী মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় (রংপুর বিভাগীয়) সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট এম. হাছিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যা ও ভারতে মুসলমানদের ওপর ধারাবাহিক নিপীড়ন বিশ্ব মানবতার জন্য হুমকিস্বরূপ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। অন্যদিকে, বাংলাদেশেও ফ্যাসিবাদী সরকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে আপসহীন ভূমিকা রাখবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মাদ আশিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনে গণহত্যা এবং নাগপুরে মুসলিম নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীর সোচ্চার হওয়া জরুরি। আমরা এ ধরনের অমানবিক ও গণবিরোধী কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানাই এবং সকল মুসলিম ও বিবেকবান মানুষের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন এ ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।”
সভাপতিত্ব করেন মুহাম্মাদ জাকারিয়া হোসেন, সভাপতি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, নীলফামারী জেলা শাখা। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নীলফামারী জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক, মাওলানা মুহাম্মাদ গোলাম রব্বানী। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ মামুন ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ ফয়জুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, তারিক বিন আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাফিজ সাজু, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী জনি, দাওয়াহ সম্পাদক মুহাম্মাদ তরিকুল ইসলাম, তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক, এম রেজওয়ানুল হক, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আরিফুল ইসলামসহ জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং ভারতের নাগপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলিম নিপীড়ন বন্ধের জোরালো দাবি উত্থাপন করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের দমননীতি প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
আমারবাঙলা/ইউকে