কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম বড় বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাধন বণিকের পৈতৃক একটি দোকান জোরপূর্বক জবরদখল করে তালাবদ্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, আরাধন বণিকের বাবা নিতাই চন্দ্র বণিক আঃ হেকিম এর কাছ থেকে অর্ধ শতক জায়গা ক্রয় করেছিলেন প্রায় ৩০ বছর আগে। দলীল মূলে বর্তমানে প্রকৃত মালিক নিতাই চন্দ্র বণিক হওয়া সত্তেও জোরপূর্বক আঃ হেকিম গং উক্ত দোকানের ভাড়াটিয়াকে কলার ধরে বের করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মালামালসহ তালাবদ্ধ করে দখলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন আরাধন বণিক।
এ প্রসঙ্গে আরাধন বণিকের ভাড়াটিয়া জসিম বলেন, ‘আমি আজকে সাত বছর যাবত আরাধন বণিকের দোকানে ভাড়া থাকি এবং পূর্বেও অনেক ভাড়াটিয়া ছিল। কোনোদিন এই জায়গা নিয়ে কোন ঝামেলা হয় নাই ।’ জসিম আরো বলেন, ‘৫ আগস্টের পর একদিন জোরপূর্বক আমাকে আমার কলার ধরে দোকান থেকে বের করে তালা মেরে দেয়।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আঃ হেকিম, দানা মিয়া, জয় মিয়া, ওয়াজ মিয়াদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে তারা কথা বলতে রাজি হননি।
আরাধন বণিক দাবি করেন, সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে তাকে এই বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতাই ভুগছি। ব্যাপারটার একটা সুরাহা চাচ্ছি।’
আরাধন বনিক আরও বলেন, ওরা মাঝেমধ্যে হাওলাতের নামে চাঁদাবাজি করতো। গত ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে রাজি না হওয়ায় আমার দোকানে হামলা চালায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সব প্রমাণ আছে। চাদার পাঁচ লক্ষ টাকা না পেয়ে তারা আমার দোকান ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে তালা মেরে দেয়। এবং বলে, পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাতে পারবো না।
আমারবাঙলা/ইউকে