কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আল করা ইউনিয়নে ফেসবুকের পোস্টকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে জামায়াতের ৮ জন ও বিএনপির পাঁচজন আহত হয়েছেন। ওই সময় বিএনপি’র প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বর্তমানে সেনাবাহিনী ওই ইউনিয়নে টহলরত অবস্থায় আছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা ৭ টায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী দলের মোহাম্মদ তারেক চৌধুরীর (৩৪) নামে ২০২০ সালে একটি ধর্ষণ মামলা হয়। সেই মামলাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ মার্চ একটি ফেসবুক পোস্ট করে বিএনপি সমর্থিত হৃদয় (১৮) নামের এক ব্যক্তি। সেই ফেসবুকের পোস্টকে কেন্দ্র করে ১৬ মার্চ প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।
গতকালের মারামারির বিষয়ে মীমাংসা করার জন্য আজ সাতটায় বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে প্রায় ২ পক্ষের ৩০০-৪০০ জন মানুষ জড়ো হয়। সেখানে মীমাংসার পরিবর্তে দুই পক্ষই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী দলের ৮ জন আহত হয়। তার মধ্যে ১জনকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে, ৩ জনকে ফেনী হাসপাতালে এবং ৪ চারজন স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায়। বিএনপির ৫ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে জামাতের কর্মীরা বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। যাতে তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে না পারে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর টহল দল গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। এর মধ্যে ১ জনকে চৌদ্দগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং ৪ জন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।
সংঘর্ষের সময় জামায়াতের কর্মীরা বিএনপির কর্মীদের প্রায় ৩০-৩৫ টি বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কোন পক্ষই থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেননি।
আমারবাঙলা/ইউকে