বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা শুরু হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বইমেলা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই বই মেলায় দীর্ঘ ২৫ বছর পর থাকছে না বাংলাদেশের কোনো বই।
সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এবারের মেলায় ১২টি দেশ অংশ নিয়েছে। থিম দেশ জার্মানি।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জার্মান রাষ্ট্রদূত ফিলিপ আকারমান, সাহিত্যিক আবুল বাশারের উপস্থিতিতে মেলার উদ্বোধন করেন।
এদিকে বইমেলার আকর্ষণ হিসেবে থাকত বাংলাদেশের কোন স্থাপত্যের অনুকরণে তৈরি বিশাল প্যাভিলিয়ন। পশ্চিমবঙ্গের পাঠকরাও অপেক্ষা করে থাকতেন বাংলাদেশের লেখকদের নতুন নতুন বইয়ের জন্য।
এ বছর বাংলাদেশের অংশগ্রহণ না হওয়া নিয়ে আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলারস গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, অংশগ্রহণের জন্য একটি দেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করতে হয়, এ বছর বাংলাদেশ তা করেনি। স্বাভাবিকভাবেই আমরা বাংলাদেশের প্রকাশক এবং বই বিক্রেতাদের জন্য জায়গা বরাদ্দ করতে পারিনি।
এবছরও কলকাতা বইমেলায় ২৫ লক্ষ ক্রেতা ও পাঠকের সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশ বিদেশের প্রায় এক হাজার প্রকাশক ও বিক্রেতা মেলায় অংশ নিয়েছেন। এবছর প্রথম বইমেলার নিজস্ব মাসকট হাসো ও হাসু দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছে। দেবী সরস্বতীর বাহন হাসতেই মাসকট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে এবারের বইমলায় মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরকে কোনো স্টল বরাদ্দ হয়নি। এজন্য বিক্ষোভ হয়েছে।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে প্রথমে স্টল দেওয়া না হলেও শেষ মুহূর্তে পরিষদের মুখপত্রের নামে স্টল বরাদ্দ করা হয়েছে। এই সব বিতর্ক নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছিল।
এবারের মেলায় ১২টি দেশ অংশ নিয়েছে। সলিল চৌধুরী, ঋত্বিক ঘটক, গ্যেটে, ম্যাক্স মুলার প্রমুখের নামে করা হয়েছে প্রবেশ দ্বার।
আমারবাঙলা/এমআরইউ