আমার বাঙলা ডেস্ক: আজ ২৩ এপ্রিল, বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস। এটি ইউনেস্কো (জাতিসংঘের শিক্ষাগত, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা) দ্বারা পঠন, প্রকাশনা ও কপিরাইট প্রচারের জন্য আয়োজিত একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান।
প্রতিবছর এ দিনটিতে সারা বিশ্বের বইপ্রেমীরা বিশেষ গুরুত্ব নিয়ে উদযাপন করেন। এ বছর ১০০টির অধিক দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বই দিবস।
বিশ্বায়নের এ যুগে মেধাবী প্রজন্ম ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার মূল উপাদান হচ্ছে বই এবং চর্চার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে পাঠাভ্যাস। বিশ্ব বই দিবস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দিনটিতে বই পড়ার আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতার উদযাপন ও প্রচারণা চালানো হয়। দিনটিতে বই পড়ে অতীত ও ভবিষ্যতের কথা ভাবেন অনেক পাঠক।
বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস উপলক্ষে ইউনেস্কো বই শিল্পের প্রধান সেক্টর থেকে উপদেষ্টা কমিটির সাথে এক বছরের জন্য ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল নির্বাচন করে।
প্রতিটি মনোনীত ওয়ার্ল্ড বুক ক্যাপিটাল সিটি বই ও পাঠ উদযাপন এবং প্রচারের জন্য কার্যক্রমের একটি কর্মসূচি পালন করে। ২০২৪ সালে স্ট্রাসবার্গকে বিশ্ব বইয়ের রাজধানী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
১৯৯৫ সালের ২৩ এপ্রিল প্রথম বিশ্ব বই দিবস পালিত হয়েছিল। যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডে এটি মার্চ মাসে পালন করা হয়।
তবে মূল ধারণাটি ১৯২২ সালে বার্সেলোনার সার্ভান্তেস পাবলিশিং হাউসের পরিচালক ভিসেন্টে ক্ল্যাভেল দ্বারা কল্পনা করা হয়েছিল লেখক মিগুয়েল ডি সারভান্তেসকে সম্মান জানানো এবং বইয়ের বিক্রি বাড়ানোর উপায় হিসাবে।
১৯৯৫ সালে প্যারিসে ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই ও কপিরাইট দিবস পালিত হবে। কারণ এ তারিখটি উইলিয়াম শেক্সপিয়র ও ইনকা গারসিলাসো দে লা ভেগার মৃত্যুবার্ষিকী। সেই সাথে অনেকের জন্ম বা মৃত্যুর দিন।
এছাড়া বই পড়া, ছাপানো এবং বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে দিবসটি পালন করা হয়।
প্রতিবছর এ দিন উদযাপনের জন্য নানা উদ্যোগ হাতে নেন সারা বিশ্বের পাঠকরা। এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে-
১) দীর্ঘদিন ধরে পড়তে চাচ্ছেন, কিন্তু পড়ার সময় পাননি এমন একটি বই পড়তে শুরু করা।
২) স্থানীয় লাইব্রেরিতে যেয়ে তাদের বইয়ের সংগ্রহ যাচাই-বাছাই করে দেখা।
৩) একটি বুক ক্লাব মিটিংয়ে যোগ দেয়া বা নিজেই এ ধরনের কার্যক্রম শুরু করা।
৪) স্থানীয় স্কুল বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানে নতুন-পুরনো বই দান করা।
দিনটিতে সামাজিক মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড বুক ডে হ্যাশট্যাগ (#WorldBookDay) দিয়ে নিজের প্রিয় বই ও লেখকদের বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা। এ বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালন করছেন লেখক, পাঠক ও প্রকাশকরা।
এবি/এইচএন