অবশেষে তোমাকে না চেয়ে থাকা গেল না
যেখানে বৃষ্টি হাওয়ার প্রথম পছন্দ।
যদিও দাড়-কাক ঠিক শহরের পথে,
সেখানে তুমি অনন্য,শার্সির ঘোলাটে ফ্রেমের মত।
যবনিকা না টেনে নেশার পুতুল
গভীর রাতে যেভাবে বেড়াতে আসে,
সীমানা শিরোনাম ছিড়ে ধোয়ার মত
গলে গলে যাবে; আর তুমি কবিতার
বই হাতে রেশমি চুড়ির ছন্দে রবীন্দ্র সরোবরে
নীল রঙের শাড়ী অথবা-
সন্ধ্যা মালতীর ফুলে ঠোঁট রাঙিয়ে তুলবে।
তুমি কবিতার পঙক্তি ছুয়ে নেবে; যেন
তুমি নিজেই শহরের কোন ভাঙ্গা দেয়ালে
লিখে রাখা কোন বেবিলন।
এখানে হলুদ পাখির দল গাইতে চায় না
শুধু নিরবতার মোড়কে ফেলে যায় দীর্ঘশ্বাস।
তাঁরাদের মেঘে বজ্রপাত কত
তবুও নিযুত চোখের মায়া বুঝিনি আমি।
তুমি দীপ্ত কিরণ! মোঙ্গলের আর্কটিক ঝড়।
তুমি শতাব্দীর পথে লিমেরিক ফুল
যে ফুল শুকানোর অপেক্ষায় আমি।
তুমি সুন্দর! প্রেমিকার মত
তুমি ছোয়াচে প্রেমিকার মত।
তুমি প্রজাপতির স্নিগ্ধ সুষমায়
জারুল বনে মধুমতী।
তুমি শরতের মত উদাস আর
শিমুল তুলোর মত শিতল।
মিছিল মিটিংয়ে তিব্র চুম্বন হয়
তুমি তো সেখানেও প্রিয় গদ্যময়!
পিয়নের খোলা বাক্স,তুমি নিখিল ছন্দময়,
তুমিতো সেখানেও অগোছালো ।
নিষিদ্ধ মালার ডালায় তুমি
তুমিও সুখ খোঁজ নিরালায়।
মোমের মত ধিরে ধিরে সোডিয়াম হয়ে শেষে
ফেরারি হও জানালায় বসে।
তোমার অলস বিকেল, ছাপোষা ব্যল্কনির পাশে
ক্যাপাচিনো সাথে আরাম কেদারার পূর্ণতা-
আমার নিরেট শূন্যতাকে পিষে নেয়।
রাতের ব্যস্ততা ছাপিয়ে তুমি ব্যস্ত হও!
আর এপাড়ে তখন নদীর জল
পরিবর্তনের আশায় বয়ে চলে।
সোনালি স্বপ্ন তোমাকে ঘিরে বাঁচে,কিন্তু
সে স্বপ্ন বেঁচে খায়- তার কাছে মরিচিকা সাজে।
তুমি নিত্য যে পথে ঘুরেফির শালিক হয়ে
তুমি নিত্য যে রথে আবির মাখোঁ মন বাড়িয়ে
আমি কারণ ছাড়াই এড়িয়ে যায় সে পথ
পথে মেখে থাকা লাল-নীল পূর্ণতা।
যখন শক্তি হারাই,ছুটে যাই পাহারের শহরে
ঝর্ণার বুকে মুখ লাগিয়ে সঞ্চার করি পরিধি।
যখন শক্তি হারাই,মুছে ফেলি মৌনতা
আমাকে তুলে দেই সফেদ জলের ঢেউয়ে।
হারাতে থাকি দিন,রাত, সবকিছু।
অপেক্ষায় থাকি বৃষ্টি হোক!
আমি ভিজবো বলে বৃষ্টিও হয় রোজ।
ঘিরে থাকা পর্দার আর্তনাদ-
অনেকটা সময় অবধি আমাকে জীবিত ভাবে।
আমিও বেঁচে উঠি,শ্বাস নেই শ্বাস-মূল হয়ে
কোন এক ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে।
গুরু প্রকাশ...
প্রজন্ম একুশ ম্যাগাজিন...
বানিয়ারা সাহিত্য পরিষদ (বাসাপ)
এবি/এইচএন