সারাদেশ
দশমিনায় ১৫ আশ্রয়ন প্রকল্প

৮ শতাধিক পরিবারের  মানবেতর জীবনযাপন

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৫টি ইউনিয়নে ১৫টি আশ্রয়ন প্রকল্পে ৮ শতাধিক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। উপজেলায় আদর্শ গ্রাম, গুচ্ছ গ্রাম ও আশ্রয়ন এই ৩টি প্রকল্পের বাসিন্দাদের এখন বেহাল দশা।

সহায় সম্বলহীন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ যাদের বেঁচে থাকার জন্য এবং একটু মাথা গোঁজার ঠাই হিসাবে ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সদর ইউনিয়নের কাটাখালী, নিজাবাদ-লক্ষ্মীপুর ও রনগোপালদী ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মান করা হয়।

আশ্রয়ন প্রকল্পে আশ্রিতরা ঘর পেলেও জীবন ও জীবিকার জন্য তাদের কপালে কোন কাজ জোটেনি। বর্তমানে নির্মিত ঘরগুলো সংস্কার না করায় বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে অনেকটা অযত্ন ও অবহেলায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলো দাড়িয়ে আছে। আশ্রয়নের অনেক পরিবার পরিজন জীবন ও জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ঘর ফেলে অন্যত্র চলে গেছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি আশ্রয়ন প্রকল্প ঘুরে এসে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র থেকে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টিতে আশ্রয়ন, আদর্শ গ্রাম ও গুচ্ছ গ্রাম নামে ১৫টি প্রকল্প রয়েছে। এই সব আশ্রয়ন প্রকল্পে অসহায় ভিটামাটি বিহীন প্রায় ৮ শতাধিক পরিবার বসবাস করছিল। উপজেলার একমাত্র বহরমপুর ইউনিয়নে আশ্রয়ন প্রকল্প না থাকলেও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে ১টি আশ্রয়ন প্রকল্প থাকলেও সেটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাটাখালী, নিজাবাদ-লক্ষ্মীপুর এবং রনগোপালদী ইউনিয়নে ৩টি আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মান করে দেয়। ৪টি ব্যারাকে ১২০টি পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাই করে দেয় সরকার। নির্মানের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন মেরামত করা হয়নি। ফলে ঘরগুলো জরাজীর্ন হয়ে পড়েছে।

নির্মিত ঘরের টিনের চালা, দরজা-জানালা ভেঙ্গে পড়ছে। বিগত সময়ে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে অধিকাংশ ঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে কিংবা ভেঙ্গে পড়েছে পাশের ঘরের উপর। ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করতে না পেরে জীবন ও জীবিকার তাগিদে অধিকাংশ প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা অন্যত্র চলে গেছে।

ঘর নির্মানের ১ বছরের মধ্যেই স্থাপিত গভীর নলকুপ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়ে। বর্তমানে যারা বাস করছে তারা নিতান্তই বাধ্য হয়েই বসবাস করছে। ভিটে মাটি না থাকায় মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাই হিসাবে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরই একমাত্র ভরসা। ভাঙ্গা ঘরেই কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে।

আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত মোস্তফা-হেলেনা দম্পতি জানান, সরকার ঘর দিলেও কাম কাইজের কোন ব্যবস্থা করে দেয় নাই, কি খামু, কি নিয়া বাইচ্চা থাকমু হের কোন খবর নাই, সরকার পরিবর্তন অইলেও আমাগো কোন ভাগ্যের পরিবর্তন হইল না।

প্রকল্পের স্থানে কোন কাজ না থাকায় উপজেলা সদরে কাজের জন্য ছুটতে হয়। প্রকল্প এলাকায় মাছ চাষের জন্য ১টি পুকুর, গবাদী পশু, হাঁস-মুরগী পালন ও শাক-সবজি উৎপাদনের জন্য সামান্য খন্ড জমি থাকলেও তা কোন কাজে আসছে না। পুকুর থাকলেও মাছ নেই, খন্ড জমি থাকলেও ফসলাদি উৎপাদন করা হয় না। বিগত ২৩ বছরের মধ্যে প্রকল্পে বসবাসরত বাসিন্দাদের কেউ খোজ খবর নেয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র থেকে জানা যায়, এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ ত্রান ও পূর্নবাসন মন্ত্রনালয়ে প্রকল্পের ঘরগুলো সংস্কারের জন্য লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।

আমার বাঙলা/এনবি

Copyright © Amarbangla
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নাটকে ভাষাদূষণের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসা প্রয়োজন: বিপাশা হায়াত

নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত। টিভি নাটক, মঞ্চ এমনকি চলচ্চিত্র ম...

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুতে ট্রেন চলাচল শুরু

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পরীক্ষামূলকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ...

হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হেফাজতের অভিযোগ

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলা...

সংবিধানের ৬২ জায়গায় সংশোধনী চায় বিএনপি

দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ও গণভোটের বিধান রাখাসহ সংবিধ...

টি-টেন লিগে সাকিবের দলে ফিক্সিংয়ের সন্দেহ

আবুধাবিতে চলামান টি-টেন লিগ নিয়ে যেন অভিযোগের শেষ...

জাতীয় ঐক্য গড়ার আহ্বান বিএনপির

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউ...

বাংলাদেশ-মিয়ানমারের শরণার্থীদের এক জায়গায় আনতে চায় মিজোরাম

বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে আসা কয়েক হাজার শরণার্থীকে...

৮ শতাধিক পরিবারের  মানবেতর জীবনযাপন

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৫টি ইউনিয়নে...

বগুড়ার তুফান সরকা‌রের ১৩ বছরের কারাদণ্ড

অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে বগুড়ার আল...

আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল ‘ডুয়েটিয়ান ডট কম’

আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে গাজীপুরের প্রাক্তন শি...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
খেলা