ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা রাজধানীর জুরাইন রেলক্রসিং থেকে সরে গেছেন। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং পদ্মা সেতু হয়ে রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। ট্রেন চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
রিকশা চালকরা রেললাইন ছেড়ে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রেল চলাচল শুরু হয়।
এর আগে শুকবার বেলা ১১টার দিকে রিকশাচালকেরা ব্যাটারিচালিত রিকশা সড়কে চলতে দেওয়ার দাবিতে রেললাইন অবরোধ করেন। রেললাইন অবরোধের সময় রিকশাচালক ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে চালকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে পুলিশ। একপর্যায়ে লাঠিপেটা করতে বাধ্য হয়েছে। বেলা দেড়টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মহাখালী রেলগেট এলাকায় অটোরিকশাচালকদের অবরোধে সোয়া ৬ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে রেলযাত্রীরা।
এর আগে গত সোমবার তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাখালীর আরজতপাড়ায় রেলপথ অবরোধ করে। এ সময় আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ বা বিধিনিষেধ আরোপ করার নির্দেশ দেন। এর পর থেকে আন্দোলন করে আসছে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা।
আমার বাঙলা/এনবি