নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০০২ সালে কর্তব্যরত আনসার সদস্যকে গুলি করে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি শুক্কুর আলী ওরফে সোহেল ওরফে সোহাগকে সাভার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রোববার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, ২০০২ সালের ১২ মার্চ দুপুরে শুক্কুর আলী তার অপর দুই সহযোগীকে নিয়ে ছিনতাইয়ের উদ্দেশে রাজধানী মোহাম্মদপুরের শ্যামলী এলাকায় ‘দূর দূরান্ত’ নামে একটি বাস কাউন্টারের সামনে অবস্থান করে। শুক্কুর ও তার সহযোগীরা মিলে অজ্ঞাত একজনকে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। তখন এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল আকমান হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল জলিল ফরাজী ও আনসার সদস্য ফজলুল হক দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ৩ জনকে আটকের চেষ্টা করলে শুক্কুর আলী ও তার অপর সহযোগীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি করে।
‘আনসার সদস্য ফজলুল হক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয় এবং একজন পুলিশ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এ সময় অপর পুলিশ সদস্য আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করলে শুক্কুর আলী ও তার অন্যান্য সহযোগীরা কৌশলে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। শুক্কুর আলী ১০ বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সে মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, হত্যা, অপহরণ ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো বলে জানা যায়। সে আনসার সদস্য ফজলুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় সাড়ে ৩ বছর কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। শুক্কুর আলী চট্টগ্রামসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন সময়ে ছদ্মবেশ ধারণ ও নাম পরিবর্তন করে কিছুদিন পরপর অবস্থান পরিবর্তন করত। এর আগে, সে মাদক মামলায় প্রায় ৪, অস্ত্র মামলায় প্রায় ৫ বছর ও অপহরণসহ বিভিন্ন মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছে বলে জানা যায়’।
এবি/এইচএন