নিজস্ব প্রতিবেদক: হেমন্তে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি যেন কোমল সাজে সেজে ওঠে। এ সময়ের ভোর শীতল সূর্যের মোহনীয় আলোয় শুরু হয়। চারদিকে ঘিরে থাকে হালকা কুয়াশার চাদর।
হেমন্তের প্রকৃতিতে অনুভূত হয় যেন অন্য রকম শীতল আবেশ। প্রকৃতিতে ফুটে ওঠে বৈচিত্র্য। এ ঋতুতে সকালের রোদের আলোয় মুক্তার মতো চিকচিক করে শিশির জমে ওঠা ফসলের খেত ও ঘাসের ডগা।
পৌষ ও মাঘ এই ২ মাস শীতকাল। তবে আশ্বিন-কার্তিক মাস থেকেই শুরু হয় শীতের আগমনী বার্তা শুরু হয়। এ সময় সারা দিন কিছুটা গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হালকা হিমেল হওয়া।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) নওগাঁ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভোরে বেশ কুয়াশা দেখা যায়। হেমন্তের স্নিগ্ধ সকাল অনেকে উপভোগ করছেন।
ফসলের ক্ষেতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মুলা, লাউ, টমেটো, লাল শাকসহ বিভিন্ন ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকরা ব্যস্ত।
শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা সিয়াম সোহাগ জানান, ইতিমধ্যে প্রকৃতিতে শীতের আবহ শুরু হয়েছে। এখন ভোরে শিশির ঝড়ছে। সেই সাথে সকালের হালকা শীত জানান দিচ্ছে শীত আসছে। আর কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো শীত পূর্ণতা পাবে।
বরুনকান্দি এলাকার বাসিন্দা আকবর হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ভোরে কুয়াশা দেখা যায়। সূর্য উঠার পর কুয়াশা আস্তে আস্তে কমে যায়। দিনে কিছুটা গরম থাকে। তবে শেষ রাতের দিকে একটু ঠাণ্ডা লাগে।
সদর উপজেলার হাঁপানিয়া ইউনিয়নের জবার মোড় গ্রামের সবজি চাষি আশরাফুল ইসলাম জানান, এবার আগাম শীতের আমেজে ফুলকপিসহ সবজির চাষ করা হয়েছে। এতে ভালো দাম পাওয়া যাবে।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বলেন, জেলায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই দিনে গরম থাকলেও সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমে যায় এবং হালকা শীত অনুভূত হয়।
ভোরে বেশ কুয়াশা থাকে। মনে হচ্ছে, এ বছর শীত একটু আগে চলে এসেছে। এবার শীতের তীব্রতাও বাড়তে পারে বলে জানান এ আবহাওয়া কর্মকর্তা।
এবি/এইচএন